কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
করম দেবতাকে বিবাহিত আদিবাসী রমণীরা ও কুমারী মেয়েরা সমৃদ্ধি, সুখ ও শান্তির দূত বলে মনে করেন। করম পুজোকে আদিবাসীরা প্রকৃতির পুজা বলেও মনে করেন। জঙ্গল থেকে করম গাছের ডাল নিয়ে এসে বাড়ির কাছে নির্দিষ্ট জায়গায় পুঁতে সেই ডালকে করম দেবতা হিসাবে পুজো করেন আদিবাসী রমণীরা। এই পুজোর জন্য আগে থেকেই তাঁরা উপোস করে শ্রমিক মহল্লায় ঘুরে ঘুরে মাগন তোলেন। তারপরে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে করম দেবতার পুজো হয়। কঠোর অনুশাসন ও নিয়মনিষ্ঠার মধ্য করম দেবতার পুজো করা হয়। আদিবাসী রমণীরা করম দেবতার কাছে তাদের সন্তান, স্বামী ও সংসারের সুখশান্তি কামনা করেন। পুজোর পরে নিরামিষ আহার করে উপোস ভাঙেন। দিনভর পুজো শেষে রাতেই করম গাছের ডাল বিসর্জন দেওয়া হয়।
অসম-বাংলা সীমান্তে ডুয়ার্সের কুমারগ্রাম চা বাগানে তৃণমূলের প্রাক্তন সংসদ সদস্য দশরথ তিরকির উদ্যোগে জাঁকজমক করে করম পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দশরথবাবু বলেন, করম পুজোয় এবারও মাদল বাজাব। ইচ্ছা আছে এবারও আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে করমে নাচব। এদিকে, দশরথবাবুর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, করম উৎসবের আড়ালে তিনি দলীয় জনসংযোগও চালাবেন।
আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকি বলেন, একমাত্র তৃণমূল সরকারই রাজ্যে ক্ষমতায় এসে আদিবাসীদের করম পুজোয় ছুটি ঘোষণা করেছে। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ডুয়ার্সের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ পরম কৃতজ্ঞ।
জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার- উত্তরবঙ্গের এই তিন জেলায় সব মিলিয়ে ১৬২টি চা বাগান রয়েছে। প্রতিটি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লাই মেতে উঠবে করম উৎসবে। করমের বিসর্জন উপলক্ষ্যে নাগরাকাটায় ডায়না নদীর ঘাটে এক লক্ষ মানুষের সমাবেশ হয়। এই বিসর্জন তদারকি করবেন সংসদ সদস্য জন বারলা। তিনিও করম উৎসবের আড়ালে দলীয় জনসংযোগ চালাবেন বলে জানা গিয়েছে।