গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ি থানায় বোমা উদ্ধারের একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে যাচাই করা হচ্ছে।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলির মধ্যে বিধান মার্কেট অন্যতম। শনিবার সন্ধ্যায় সেই বাজারে একটি দোকানের সামনে ওই হ্যান্ড গ্রেনেড পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুল গাছে জল দেওয়ার স্প্রে মেশিনের মতো হুবহু একইরকম দেখতে ছিল সেই হ্যান্ড গ্রেনেড। স্প্রে মেশিনের নীচের অংশের চ্যাপটা বা কলসির মতো এবং উপরের অংশ সরু নলের মতো দেখতে হয়। সেই সরু অংশে থাকে স্প্রে করার যন্ত্র। ওই গ্রেনেডটিও ছিল একই রকম। সেটির ওজন ছিল ২৭৫গ্রাম।
সেটি পর্যবেক্ষণ করার পর গোয়েন্দারা বলেন, এধরনের হ্যান্ড গ্রেনেড এখানে তৈরি হয় না। জল স্প্রে মেশিনের মতো বস্তুটি দেখে মনে হচ্ছে, সেটি চীনের তৈরি। এখন পর্যন্ত শিলিগুড়ি সহ আশপাশ এলাকার কোনও গোলমালের ঘটনায় এধরনের গ্রেনেড ব্যবহারের নজির পাওয়া যায়নি। শিলিগুড়িতে আগে কোনও দিন এধরনের গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেনি। এগুলি সাধারণ জেহাদি সংগঠগুলি ব্যবহার করে বলেই মনে হচ্ছে। কাজেই, সেই ঘটনার পেছনে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ থাকতে পারে। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারের এক শীর্ষ কর্তা অবশ্য বলেন, ওই বোমা কারা, কী উদ্দেশ্যে সেখানে রেখে গিয়েছিল, সেই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও অমিল। সেই মিসিং লিঙ্কগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই রাতেই ঘটনাস্থল থেকে সেই হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করে সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে ওই বোমা তিনবাত্তি মোড়ে পুলিসের একটি অফিসে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়। বালির বস্তা দিয়ে সেটি রাখা ছিল। রবিবার সকাল মাটিগাড়া থানার নৌকাঘাট এলাকায় মহানন্দা নদীর চরে সেই গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করা হয়। প্রথমে বালির চলে সেটিকে রাখা হয়। তারউপর বালির বস্তা দেওয়া হয়। অনেকটা দূর থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। বিকট আওয়াজ করে সেটি ফাটে। এই ঘটনার সময় চরে কৌতূহলী বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে।
পুলিসের অফিসাররা বলেন, ওই গ্রেনেডে কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। সিআইডির রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিষ্ক্রিয় করার পর বারুদ মাখা বালি, ওই গ্রেনেডের টুকরা প্রভৃতি সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা করার জন্য ফরেন্সিক ল্যাবটরিতে পাঠানো হবে। গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার ঘটনা পর্যবেক্ষণের পর গোয়েন্দাদের ধারণা, বিকট আওয়াজ হলেও এটাতে প্রাণহানির সম্ভাবনা কম রয়েছে।