পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রায় দু’কিমি এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। অনেকেই ভিটেমাটি হারাচ্ছেন। কেউ কেউ অন্যত্র চলে গিয়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সেচদপ্তরের আধিকারিকদের জানিয়েও লাভ হয়নি। কারণ বিগত কয়েক বছরে নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে এতটাই কাছে এসেছে যে ওসব এলাকার বহু মানুষের কৃষিজমি, ভিটেমাটি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা একাধিকবার এসে ভাঙন এলাকা পরির্দশন করলেও বাঁধ তৈরির ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ তাঁরা নেননি।
এলাকার বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের হিতেন বর্মন বলেন, জোড়পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের নেন্দারপাড়ের ভাঙনপ্রবণ এলাকা আমি সম্প্রতি পরির্দশন করেছি। এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এনিয়ে সেচদপ্তরের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। বর্ষার পরই যা কাজ হওয়ার হবে।
সেচদপ্তরের কোচবিহার জেলার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপনকুমার সাহা বলেন, মাথাভাঙা মহকুমার বেশ কিছু অরক্ষিত এলাকা ভাঙন প্রবণ। আমরা বহুবার সেই এলাকায় বাঁধ তৈরির সুপারিশ রাজ্যকে করেছি। ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলির ভাঙন প্রতিরোধে আমরা বাঁশের খাঁচা বানিয়ে ব্যবস্থাও নিয়েছি। কিন্তু ওই এলাকাটি এতটাই ভাঙনপ্রবণ হয়ে আছে যে বাঁশের খাঁচাও জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বাঁধ তৈরি করার।
এবারের বর্ষায় জোড়পাটকির নেন্দারপাড় এলাকায় নদীর ভাঙন ব্যাপক আকার ধারন করেছে। বৃষ্টি কমার পর নদীর জল কমতেই এখন ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনের ভিটেমাটি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। তাঁরা অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। নেন্দারপাড় গ্রামের নেন্দা ও ধরলা নদীর সঙ্গমস্থল থেকে ধরলা সেতু পর্যন্ত দু’কিমিও বেশি এলাকায় ভাঙন চলছে। গত বছরও সেখানে ভাঙন হয়েছিল। সেচদপ্তর সেসময়ে বাঁশের খাঁচা বানিয়ে বোল্ডার দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু সেসব ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক হিতেনবাবু সম্প্রতি এলাকা পরির্দশনে এসে শক্তপোক্ত বাঁধ তৈরির আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু এখনও কাজ কিছুই হয়নি। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রচুর চাষের জমি এখনও পর্যন্ত নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। অরক্ষিত ওই এলাকার ভাঙন রোধে বাসিন্দারা বাঁধের দাবি তুলছেন। যদিও সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, নেন্দারপাড়ের ওই এলাকাটি ভাঙনপ্রবণ। স্থায়ী বাঁধের জন্য বরাদ্দ না আসায় বাঁধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এবারও বাঁশের খাঁচা বানিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়েছে।