সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদিকে, বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছাত্র-যুব কনভেশনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই কনভেনশনটি এদিন বাতিল করা হয়। রাজ্য সভাপতি জেলায় আসার আগের দিন এভাবে ঘোষিত সভা বাতিল হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। যদিও তৃণমূলের দাবি, রাজ্য সভাপতির সভার আগের দিন একই মঞ্চে ছাত্র-যুব কনভেনশন করাটা সঠিক নয় বলেই সেটি বাতিল করা হয়েছে।
দলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার জেলা পর্যবেক্ষক সুব্রতবাবু দলের জনপ্রতিনিধি ও পদাধিকারী কর্মীদের নিয়ে সভা করবেন। এদিন ছাত্র-যুব কনভেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরের দিনই রাজ্য সভাপতি আসছেন। তার আগের দিনই একই মঞ্চে এই কনভেশন হয় না। তাই ওই সভা বাতিল হয়েছে। এরমধ্যে অন্য কোনও কারণ নেই।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, আমরা বারবার বলছি যে ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। তাছাড়া দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও সমন্বয়ের অভাব বারবারই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এসব তারই লক্ষণ।
এদিন কোচবিহার উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের দলের ছাত্র-যুবদের নিয়ে কনভেনশনে ডাকা হয়েছিল। ঘোষিত এই কর্মসূচি শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের দাবি, এই ঘটনার পিছনে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই দায়ী। তা না হলে কনভেনশন ডেকে কেন তা আবার বাতিল করা হবে? এদিকে, রাজ্য সভাপতির সভা ঘিরে দলের অন্দরে প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। কোচবিহার জেলার রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলকে মিশ্র অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের পর দলের হাতে থাকা বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছিল। সেগুলির একাংশ কিছুদিন হল ফিরে আনতে সক্ষম হচ্ছে দল। লোকসভা নির্বাচনের পরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি একের পর এক হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই কর্মীদের মনোবল ভাঙতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেগুলি আবার পুনরুদ্ধার করতে পেরে দল এখন আবার কিছুটা অক্সিজেন সঞ্চয় করতে পেরেছে। কিন্তু জেলার বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক গণ্ডগোল, বোমাবাজি, গুলি, ভাঙচুর, অবরোধ সহ একাধিক ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই সব ক্ষেত্রেই শাসক দল তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছে। গণ্ডগোলের কারণে দুই শিবিরেরই কর্মী সমর্থক আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। অনেক জায়গাতেই বিজেপির অবরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসক দলকে। এসব নিয়ে জেলার রাজনীতি যথেষ্টই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে।
এসবের পাশাপাশি দলের অন্দরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার সামনে এসেছে। কিছু দিন আগেই দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে জেলা সভাপতি করে দল। এই পরিপ্রেক্ষিতে দলের রাজ্য সভাপতির এই সভাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে যেমন উৎসাহ রয়েছে তেমনি বিরোধীরাও ঘটনার দিকে নজর রাখছেন। কোচবিহারে এসে সুব্রতবাবু এবার দলের কর্মীদের কী বার্তা দিয়ে যান, সেই দিকেই এখন সকলে তাকিয়ে আছেন।