সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
স্কুল ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বানিয়াপাড়া জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা আটকায়। তাকে পাউডার জাতীয় কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। বুধবার আবার স্কুল যাওয়ায় তাকে অপহরণের হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে বুধবার ছাত্রটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের জানানোর পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। সহপাঠীর সঙ্গে এই ঘটনায় কথা জানাজানি হতেই স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতয়ালি থানার পুলিস।
বানিয়াপাড়া জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ মালি বলেন, মঙ্গলবার বিদ্যালয় ছুটির পরে বিদ্যালয়ের ওই ছাত্র তিস্তা ক্যানেল ধরে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় দুই দুষ্কৃতী তার মুখে কাপড় বেঁধে ছাত্রটিকে সাইকেল থেকে নামিয়ে নিয়ে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায়। তারা তাকে জোর করে পাউডার জাতীয় কিছু জিনিস খাইয়ে দিলে সে বেহুঁশ হয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক পড়ে জ্ঞান ফিরলে সে বাড়ি ফিরে যায়। বাড়ির সকলে খুবই আতঙ্কে ছিলেন। আজ, বুধবার ছাত্রটি অন্য রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে আসছিল। এদিনও ওই দুষ্কৃতীরা তাকে ধরে ফের হুমকি দেয়। এনিয়ে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে পুলিসে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কোতয়ালি থানা জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
স্কুল ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৪টা নাগাদ বিদ্যালয় ছুটির পরে সাইকেল করে মোহিতনগর দাসপাড়ায় বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্র। শুনশান তিস্তা ক্যানেলের সামনে তার সাইকেল থামায় দুই দুষ্কৃতী। জোর করে তার সাইকেল কেড়ে নিয়ে সেটি ছুঁড়ে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর লাঠি দিয়ে ছাত্রের পায়ে আঘাত করা হয়। তারপরে জোর করে কিছু খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে দেওয়া হয়। ঘণ্টা খানেক পরে তার হুঁশ ফেরে। পরে উঠে সে নিজেই বাড়ি ফিরে যায়। বাড়ির লোকদের সব ঘটনা সে খুলে বলে। প্রাথমিক শুশ্রূষার পরে রাতে সে খানিকটা সুস্থ হয়। এদিন ভয়ে সে তিস্তা ক্যানেলের পরিবর্তে দাসপাড়ার রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে আসছিল। এদিন সেই পথেও দুষ্কৃতীরা তাকে থামিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। কোনও মতে সে বিদ্যালয়ে পৌঁছে শিক্ষকদের সমস্ত ঘটনা জানায়। এনিয়ে স্কুলেও ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ওই এলাকায় মদ্যপদের উৎপাত বেড়েছে। বেআইনিভাবে প্রচুর মদ বিক্রি করা হচ্ছে ওখানে। তিস্তা ক্যানেলের আশেপাশে নেশার অনেক আখড়া বসছে। এনিয়ে দ্রুত পুলিসি হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে এলাকায়।