সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলার অন্যতম বড় হাট হল বেলাকোবার বটতলা হাট। বুধবার ও শনিবার এই হাটে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আমবাড়ি, রাজগঞ্জ, রংধামালি সহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা আসেন। ছয়শোর বেশি ব্যবসায়ী হাটে ব্যবসা করতে আসেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন এই হাটে। গোরুহাটি, ছাগলহাটি, মাছহাটি, মাংসহাটি, কাপড়হাটি, মুদিখানা, সবজিহাটি মিলিয়ে প্রতি হাটে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা হয়। বছর দেড়েক আগে ব্যবসায়ীদের সরিয়ে হাটে পাকা ওপেন শেড তৈরি করতে শুরু করে রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি। তখন ৬২৫টি দোকান ছিল হাটে। হাটের কাজ শুরু হওয়ায় রাস্তায় ব্যবসা শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, আরএমসি’র তৈরি করা শেডে তিনশো জন ব্যবসায়ী দোকান দিতে পারবেন। ফলে অর্ধেক ব্যবসায়ীই জায়গা পাবেন না ওপেন শেডে। বাকিদের কী ব্যবস্থা হবে? অভিযোগ এবিষয়ে আরএমসির দ্বারস্থ হয়েও কোনও সদুত্তর পাননি ব্যবসায়ীরা। কাজ শুরুর ছয় মাসের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করার কথা ছিল। শেড ঘর তৈরিও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দেড় বছর অতিক্রান্ত হলেও শেড ঘরে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন হয়নি। এতে চরম অসুবিধায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বর্ষাকালে হাজারো সমস্যা নিয়েই ব্যবসা করতে হচ্ছে তাঁদের। ক্রেতারাও দুর্ভোগে পড়ছেন। ব্যবসায়ীরাই জানান, হাটের বেহাল দশা দেখে অনেক ক্রেতা বর্তমানে হাটমুখী হচ্ছেন না। ব্যবসায় প্রবল ক্ষতি হচ্ছে। আরএমসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওপেন শেডের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। সেই কাজ সম্পূর্ণ হলে তারা আরএমসিকে তা হস্তান্তর করবে। তারপরেই উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে লটারি করে ঘরগুলি বিতরণ করা হবে।
বটতলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নকুল গুহ বলেন, হঠাৎ করে দেড় বছর আগে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে শেড ঘর তৈরি করা শুরু হয়। ছয় মাস আগে শেড তৈরি হলেও এখনও সেখানে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া হল না। হাটে শৌচাগার নেই। পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। দ্রুত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া না হলে আন্দোলন করা হবে। জলপাইগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সম্পাদক দেবাঞ্জন পালিত বলেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে বটতলা বাজারের স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। সেগুলি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হলে লটারির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা হবে।