সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এবিষয়ে সিটুর উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক স্বপন গুহ নিয়োগী বলেন, আমাদের সংগঠনের শক্তি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। ২০১৫ সালে সংগঠনের জেলা সম্পাদক সুবীর বিশ্বাস প্রয়াত হওয়ার পর দায়িত্ব নিয়েছি। আগামী সেপ্টেম্বরেই আমরা সম্মেলন করার চেষ্টা করছি। তবে আমাদের শ্রমিক সংগঠনের অনেকেই শাসক দলের সন্ত্রাসের ভয়ে লুকিয়ে সংগঠনের কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের কিছু জেলা নেতা অসুস্থ হয়েছেন তাও ঠিক। তবে তাতে সংগঠনের শক্তি খুব একটা হ্রাস পায়নি। বরং নতুনরা এগিয়ে আসছেন, এটা ভালো সংকেত।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর শক্তি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই নানান প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। এসময়ে একছত্র অধিপত্য বিস্তার করা শ্রমিক সংগঠন বর্তমান শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন ও বিজেপি’র সংগঠনের কাছে খুব একটা দাঁড়াতে পারছে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জেলার বিভিন্ন সংগঠিত ও অসংগঠিত শ্রমিকদের মধ্যে তাদের চাহিদাও কমেছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। ২০১১ সালে রাজ্য রাজনীতিতে পালা বদলের পর সিটুর পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে বলে অনেক নেতৃত্বের দাবি। গত ছয় বছরে একটিও জেলা সম্মেলন না হওয়া সংগঠনের শক্তি হ্রাস পাওয়ারই প্রমাণ। যদিও বিষয়টিকে সেভাবে দেখতে চাইছে না সিটুর জেলা নেতৃত্ব। তাদের দাবি, জেলার সমস্ত সংগঠিত, অসংগঠিত ও রাজ্য স্তরের সমস্ত শ্রমিক সংগঠনই বর্তমানে তাদের কাজ জোরকদমে করছে। চোপড়া এলাকার কিছু চা শ্রমিক সংগঠনের ক্ষেত্রে শাসক দলের সন্ত্রাসের কারণে কর্মীরা সামনে এসে সংগঠনের কাজে নিজেদের মেলে ধরতে না পারলেও গোপনে সদস্য পদ রিনিউ করে চলেছেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে জেলা সম্মেলন আবশ্যক তা মেনে নিয়েও তাদের দাবি, ২০১৫ সালে তৎকালীন জেলা সম্পাদকের আকস্মিক প্রয়াণের ফলে দলের সম্পাদক পরিবর্তন করা হয়। তারপর নানা সময়ে বিভিন্ন নির্বাচন চলে আসায় সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। তবে তাতে সংগঠনের ক্ষতি হয়নি।