সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
ময়নাগুড়ি নতুন বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, এই মুহূর্তে খুচরো সব্জির বাজার ধরে রেখেছে ভুটান পাহাড় থেকে আসা সব্জি। তবে ওসব সব্জি ভুটান থেকে আসায় তার দাম খানিকটা বেশি হয়। ভুটানের আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জি সরাসরি ধূপগুড়ির পাইকারি বাজারে যায়। তারপর সেসব আমরা মহাজনের কাছ থেকে কিনে নিয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করি। বিক্রি ভালোই হচ্ছে। জৈব পদ্ধতিতে চাষ হওয়ায় মানুষ ওসব সব্জিতে বেশি আস্থা রাখছেন।
ময়নাগুড়ি নতুন বাজারে আসা ক্রেতারা বলেন, ভুটানি আলুর দাম বেশি হলেও তা স্থানীয় খেতে উৎপাদিত আলুর মতো মিষ্টি হয় না। এই মরশুমে উত্তরবঙ্গে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ হয় না। এখন এই সব্জি খেতে হলে অগত্যা বেশি দাম দিয়েই কিনতে হবে। তাই ভুটানের বাঁধাকপি, ফুলকপির দাম নাগালের মধ্যেই আছে।
জলপাইগুড়ির কৃষি আধিকারিক পাপিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ভুটানি আলুতে মিষ্টির পরিমাণ কম থাকে। তবে এই সময়ে আমাদের এখানে আলুর চাষ হয় না। হিমঘর থেকে আলু বাজারে আসছে। আর হিমঘরের এই আলুতে মিষ্টির পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকে। এরপর আবার যখন আমাদের এদিকে আলুর চাষ হবে এবং বাজারে নতুন আলু আসবে তখন সেই নতুন আলুতে মিষ্টির পরিমাণ কম হবে। তবে ভুটানের সব্জি এখানে এলে আপত্তি নেই। কিন্তু দেখতে হবে স্থানীয় কৃষকরা যাতে তাঁদের জমিতে ফসল উৎপাদন করে ক্ষতির মুখে না পড়েন।
ভূটানের অধিকাংশ সব্জিই জৈব পদ্ধতিতে চাষ হয়। তাই স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন মানুষ জৈব চাষে উৎপাদিত সব্জি বেশি পছন্দ করেন। ময়নাগুড়িতে যেসব সব্জি চাষ হয় তার ভুটান থেকে আমদানি হয়ে আসা সব্জির দাম তার থেকে অনেকটাই বেশি। তা সত্ত্বেও এখানকার ক্রেতারা সেই সব্জি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ময়নাগুড়ির বাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ভুটানের আলু ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক সময় ভুটানের বাঁধকপি ৩০ টাকা কেজি দরেও পাওয়া যাচ্ছে। ফুলকপি ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ির খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।