গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি শহরের বিশিষ্ট নাগরিক তথা প্রাবন্ধিক উমেশ শর্মা বলেন, আমাদের শহরের ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই শহরের বুকে এমন কিছু অসামাজিক কার্যকলাপ হয়েছে তাতে আমরা মর্মাহত। ঐতিহ্যবাহী এই শহরের সংস্কৃতির মান তলানিতে এসে ঠেকছে। পুলিসকে এসব কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে।
জলপাইগুড়ি হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রবীরকুমার দে বলেন, হোটেলে, লজে অসামাজিক কাজকর্ম যাতে না হয় সেটা দেখার জন্য সদস্যদের বলা হয়েছে। আমরা সকলকে সর্তক করেছি। ধৃত ওই লজ ব্যবসায়ীর পাশে আমাদের সংগঠন নেই। বারেবারে কেন এমন অভিযোগ উঠছে তা জানতে আমরা এরমধ্যেই সমস্ত সদস্যকে নিয়ে বৈঠকে বসব।
জেলার পুলিস সুপার অভিষেক মোদি বলেন, এদিন দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা শহরের কদমতলার একটি লজে অভিযান চালাই। লজের মালিক সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।
দিনের বেলায় জলপাইগুড়ি শহরের অন্যতম ব্যস্ত কদমতলা মোড়ের একটি ওষুধের দোকানের উপরে থাকা লজে শনিবার দেহব্যবসা চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় রায়ের নেতৃত্ব পুলিস অভিযান চালায়। ওই লজের মালিক লজেরই নীচে ওষুধের দোকান চালায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, দোকানের আড়ালেই অভিযুক্ত খদ্দের ধরত। জেলার ক্রান্তি সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবক যুবতীরা লজে আসা শুরু করে। সম্প্রতি শহরের একটি নামী পানশালায় পুলিস অভিযান চালানোর পরেও দেহব্যবসা বন্ধ হয়নি। পুলিস এদিন কদমতলার ওই লজটি সিল করে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকার ওই লজে দীর্ঘদিন ধরেই দেহব্যবসা চলছিল। এনিয়ে বাসিন্দারা একাধিকবার সরবও হন। কিন্তু লজ মালিক কোনও কিছুই পরোয়া করত না। এদিনের পুলিসের অভিযানের পর অভিযুক্তরা ধরা পড়ায় বাসিন্দারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
সম্প্রতি কোতোয়ালি থানার পাশেই একটি পানশালাতে দেহব্যবসা চালানোর ঘটনায় জেলাজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত একাধিক ব্যক্তিকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিসের অভিযান হলেও একাংশ ব্যবসায়ী এমন কাজ করেই চলছে। এসব কাজকারবার রুখতে প্রকাশ্যে সভা করে সরব হয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী, রাজনৈতিক দলগুলিও। তবুও দেহব্যবসা চালানোর ঘটনা কমেনি, এদিনের ঘটনাই তার প্রমাণ দিল। হোটেল মালিকদের সংগঠন অভিযুক্ত সদস্যদের পাশে না থাকার বার্তা দিলেও একাংশ তাতে কর্ণপাত করছে না বলেই অভিযোগ উঠেছে।