গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণী বলেন, জমিহারাদের চাকরির দাবির আন্দোলনকে আমি সমর্থন করেই এদিন অনশন মঞ্চে যাই। আমি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে জানিয়েছি। ল্যান্ডলুজারদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আমাদের সরকার উদ্যোগী হবে। এরজন্য কিছু দিন সময় আমাদের দিতে হবে। এদিন আমি অনশন মঞ্চে আন্দোলনকারীদের একথা জানাই। ওঁরা অনশন তুলে নিয়েছেন।
রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে আমি আগেও এসেছি। কলকাতায় দলের আমাদের জেলার পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসকে বিষয়টি আমি টেলিফোনে জানাই। আমি ফের এদিন অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যাই। জেলা সভাপতিও ছিলেন। আমি খুশি যে তাঁরা অনশন ভেঙেছেন। আমি ওঁদের দাবিগুলি বিধানসভা অধিবেশনে তুলব।
জলপাইগুড়ি জেলা ল্যান্ডলুজার কমিটির সভাপতি নজরুল রহমান বলেন, জনপ্রতিনিধি এবং তৃণমূল নেতৃত্বের অনুরোধে আমরা এদিন অনশন প্রত্যাহার করি। আশা করি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের চাকরির দাবিটি দ্রুত মেটাবেন।
জেলাশাসকের অফিসের সামনেই মঞ্চ বেঁধে চাকরির দাবিতে অনশনে বসেছিলেন জেলার জমিহারারা। প্রথমে অনশন শুরু হলেও পরে তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করেন। ষষ্ঠ দিনে চাকরির আশ্বাসে পেয়ে তা তুলে নিলেন। বাম আমলে তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণ সহ অন্যান্য প্রকল্পের জন্য সরকার প্রচুর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। আন্দোলনকারীদের দাবি, নামমাত্র টাকায় সেসময়ে জমি নেওয়া হয়। সেসময়েই বলা হয়েছিল, জমিহারাদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। জমি অধিগ্রহণের কয়েক দশক পেরিয়ে গেলেও অনেকের পরিবারেরই কেউ চাকরি পায়নি। চাকরির দাবিতে সরকারি আধিকারিকদের কাছে তাঁরা একাধিকবার দরবার করলেও কোনও ইতিবাচক আশ্বাস না পেয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আশ্বাস পেলেও তা এতদিনেও বাস্তবায়িত না হওয়ায় অবশেষে তাঁরা গত বুধবার থেকে অনশনে বসে যান। পরবর্তীতে আমরণ অনশন শুরু করেন। অনশন মঞ্চেই সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক ব্যক্তি। এক মহিলাও অনশন করার সময়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আন্দোলনকারীদের টানা অন্দোলনে অবশেষে তৃণমূল নেতারা ময়দানে নামেন। অনশন প্রত্যাহার করলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের দাবিদাওয়া পাঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে আন্দোলনকারীরা রাজি না হলে আসরে নামেন জেলা সভাপতি। এদিন সকালে সরবত ও মিষ্টি নিয়ে হাজির হয় বিধায়ক সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরাই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে অনশন ভাঙান।