কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শিলিগুড়ির এআরটিও নবীন অধিকারী অবশ্য বলেন, টিন নম্বর থাকা টোটোকে ই-রিকশয় পরিবর্তন করার প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য ক্যাম্প করে ই-রিকশর রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এনিয়ে ভুল বোঝাবুঝির জেরে কিছু টোটো চালক এদিন ক্যাম্পে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেন। পুলিসের সহযোগিতায় টোটো চালকদের সেই চেষ্টা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি, ই-রিকশর রেজিস্ট্রেশন শিবিরের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরে টিন নম্বর যুক্ত টোটোগুলিকে ই-রিকশয় রূপান্তরিত করার দাবি বহুদিনের। সেইমতো কয়েকদিন আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে প্রশাসন ই-রিকশ রূপান্তরিত করার ক্যাম্প করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ আগস্ট ওই শিবিরের সূচনা করা হয়। সেখানে ই-রিকশর বিভিন্ন কোম্পানিও তাঁবু খাটিয়েছে। সেখান থেকে ই-রিকশর রেজিস্ট্রেশন ফর্ম বিলি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন মডেলের ই-রিকশ আবেদনকারীদের দেখানো হচ্ছে। এমনকী সেখানে ই-রিকশ বুকিং করা হচ্ছে। আজ, বুধবার শিবির শেষ হওয়ার কথা ছিল। এই অবস্থায় এদিন দুপুরে টোটা চালকদের একাংশ সেই শিবিরে হাজির হন। তাঁরা প্রশাসনিক এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে হাঙ্গামা শুরু করেন। ই-রিকশর বিভিন্ন কোম্পানির তাঁবু ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি চেয়ার, টেবিল ফেলে দেন। এরজেরে কিছুক্ষণের জন্য শিবির বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে শিলিগুড়ি থানর পুলিস কর্মী এবং এআরটিও নবীন অধিকারী ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা টোটো চালকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে ফের শিবির চালু করা হয়।
বিক্ষোভকারী টোটো চালকদের মধ্যে হাকিমপাড়ার সন্তু তালুকদার বলেন, তিন বছর ধরে টোটো চালাচ্ছি। পুরসভার দেওয়া টিন নম্বরও আছে। এখন সেই টোটো পরিবর্তন করে প্রশাসন ই-রিকশ দিতে চাইছে। এই রিকশ কেনার জন্য এক লক্ষেরও বেশি টাকা দরকার। দীপঙ্কর দাস নামে আর এক টোটো চালক বলেন, টিন নম্বরের টোটো মাত্র ১৩ হাজার টাকার বিনিময়ে আমাদের কাছ থেকে নেবে কোম্পানি। এই দাম মানা যায় না। তাঁদের মতো আরও কয়েকজন টোটো চালকের অভিযোগ, পুজোর মুখে টিন নম্বরের টোটো তুলে দিয়ে ই-রিকশর নামে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করার কৌশল নিয়েছে প্রশাসন। তাঁদের দাবি, টিন নম্বর দেওয়া টোটোকেই ই-রিকশর রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে। তা হলে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করে ই-রিকশ কিনতে হবে না। সংশ্লিষ্ট টোটো চালকদের দাবি অবশ্য প্রশাসনের পাশাপাশি অন্য টোটো চালকরা মানতে চাইছেন না। তারা জানিয়েছে, টোটোর বদলে যে ই-রিকশ দেওয়া হচ্ছে তা অনেকটাই ভালো। রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিমা, রুট পারমিট প্রভৃতি দেওয়া হলে যাত্রীদের সুরক্ষা বাড়বে। দু’সপ্তাহে টোটোকে ই-রিকশয় রূপান্তর করার ৭০০টি আবেদন ক্যাম্পে জমা পড়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।