সংবাদদাতা, মালদহ: সম্প্রতি নতুন করে মালদহে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কমিটিগুলিকে গঠন করেছিলেন মৌসম নুর। কিন্তু তারপরেই দলের মধ্যে দেখা দেয় তীব্র ক্ষোভ। সেই বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল মৌসমের বাসভবনেও। পরিস্থিতি বুঝে এই নতুন ব্লক কমিটিগুলি নিয়ে খানিকটা ধীরে চলার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। মঙ্গলবার কলকাতায় একটি বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল মালদহের প্রতিটি ব্লকের তিনজন করে দলীয় নেতাকে। ওই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, পুনর্গঠিত ব্লক কমিটিগুলিকে পুরোদমে কাজ শুরু করার আগে অপেক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটি ও পুরানো কমিটির মেলবন্ধনের মাধ্যমে ক্ষোভ কমানোর উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের এক জেলা নেতা। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের জেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনকে বিষয়টি দেখভালের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বুধবার মালদহে ফিরে তিনি দলের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়ির গুরুত্বও বাড়ানো হয়েছে। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির অধীনে যে জনসংযোগ কর্মসূচি চলছে তার সংযোজক করা হয়েছে অম্লানবাবুকে। এই কর্মসূচির তত্ত্বাবধান এখন থেকে অম্লানবাবুই করবেন। অম্লান ভাদুড়ি বলেন, দলের নির্দেশ শিরোধার্য। জনসংযোগ কর্মসূচি সফল করতে সবাইকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে সেই কাজের গতি আরও বাড়বে। এদিকে মোয়াজ্জেম হোসেন টেলিফোনে বলেন, নতুন ব্লক কমিটি পুরানো কমিটির সঙ্গে যেন সমন্বয় রেখে চলে, তা দেখার জন্য আমাকে বলা হয়েছে। বুধবার মালদহে ফিরে এই বিষয়ে আলোচনা করব।
এদিকে রাজ্য কমিটির এই সিদ্ধান্তকে জেলা তৃণমূলের একটি অংশ মৌসম নুরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা বলেই দাবি করেছে। তাদের দাবি, প্রবীণ, অভিজ্ঞ ও পুরানো নেতা কর্মীদের কার্যত গুরুত্ব না দিয়েই একের পর এক ব্লক কমিটি পুনর্গঠন করেছিলেন মৌসম। তাতে বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল জেলাজুড়ে।
এই প্রসঙ্গে মৌসম নুরের বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে দাবি করা হয়েছে যে রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। মৌসম যে কমিটি ঘোষণা করেছিলেন তাতে জেলার দুই পর্যবেক্ষকের সম্মতি ছিল। মৌসম একা কোনও সিদ্ধান্তই নেননি।