কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক সমরেন্দ্রনাথ খাড়া বলেন, রাজ্যের পাশাপাশি সারা দেশজুড়ে ড্রাগন ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ড্রাগন ফল চাষের সঙ্গে জেলার চাষিরা যুক্ত হচ্ছেন। এতে জেলার অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে যাবে। আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রাগন ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছি। বংশীহারি ব্লকের এক আব্দুল মনিম মিঁয়া নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক তাঁর কয়েক বিঘা জমিতে এই ফল চাষ করেছেন। তিনিই জেলায় প্রথম এই চাষের কারিগর। আমরা দপ্তরের পক্ষ থেকে তাঁকে সবদিক থেকে সাহায্য করছি। তাঁর তৈরি চারা নিয়ে জেলার অন্যান্য ব্লকের চাষিরা চাষ করছেন। আমি শুনেছি তিনি নিজেই উৎপাদিত ফল বাজারজাত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই চাষ জেলাজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা উদ্যোগী হয়েছি। মনিম সাহেব বলেন, ২০১০ সালে চাকরি থেকে অবসর নিয়ে আমি নানা ধরনের চাষাবাদ শুরু করি। নতুন কিছু করার জন্য নদীয়ার রানাঘাট থেকে ড্রাগন ফলের চারা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পথ চলা শুরু করি। জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের সহযোগিতায় ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করেছি। জেলায় ভালো বাজার না থাকায় নিজের উদ্যোগে ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। এছাড়াও উৎপাদিত ফল ও ড্রাগন গাছের চারা বিক্রি করে ভালো অর্থ উপার্জন হচ্ছে। রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে থেকেও অর্ডার আসছে।
দেশ বিদেশের বাজারে পরিচিত মূল্যবান ও অর্থকরী ড্রাগন ফল চাষ করতে বাগিচা চাষিদের উৎসাহ দিচ্ছে জেলা উদ্যানপালন দপ্তর। বর্তমানে গতানুগতিক চাষাবাদ করে কৃষকরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সেভাবে স্বাবলম্বী হতে পারছেন না। কৃষিভিত্তিক জেলার অর্থনৈতিক পরিকাঠামো উন্নতি করতে বাগিচা চাষিদের সরকারি সহযোগিতায় অর্থকরী ফসল উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হওয়ার দিশা দেখাচ্ছে জেলা উদ্যানপালন দপ্তর। ড্রাগন ফল শুধুমাত্র একটি মুখরোচক ফল নয় এর গুণাবলী সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিলমোহর দিয়েছে। আমেরিকা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন ও ইন্দোনেশিয়াতে ড্রাগন ফল খুবই জনপ্রিয়। পশ্চিমবঙ্গের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়াতে এই ফলের চাষ ভালো হচ্ছে। বছরের বেশিরভাগ সময় দক্ষিণ দিনাজপুরে ২৫-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বজায় থাকে। এই তাপমাত্রায় ক্যাকটাস জাতীয় ড্রাগন গাছের শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এই ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মনিম সাহেবই পরীক্ষামূলকভাবে জেলায় প্রথম ড্রাগন ফলের চাষ করেন।