পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সমতল ও ভুটান পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি হলে অসম সীমান্তে সংকোশ নদী ফুলেফেঁপে খুবই আগ্রাসী হয়ে উঠে। স্কুলের অভিভাবক মহেশ রায় বলেন, বর্ষায় সংকোশ নদী ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। এই নদীতে একবার কেউ তলিয়ে গেলে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই বর্ষাকালে সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে ভয় করে। আর এক অভিভাবক সুরোবালা রায় বলেন, সন্তানকে স্কুলে পাঠালেও নদীর জন্য আশঙ্কায় থাকতে হয়।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সাহা বলেন, সংকোশের বাঁধটি খুবই শক্তপোক্ত। বাঁধ ভাঙার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু স্কুলের চারপাশ খোলা থাকার জন্য সংকোশে তলিয়ে যাওয়ার ভয়ে বর্ষাকালে অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চায় না। আমাদেরও সর্বক্ষণ এই ভয় তাড়া করে। তাই স্কুলের চারপাশে পাঁচিলের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় আমরা আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু আজও কেউ প্রতিশ্রুতির কথা রাখেনি।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অনুপ চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, মাঝেরডাবরি বিষ্ণুনগরকলোনি নিউ প্রাথমিক স্কুলের সীমানা পাঁচিলের জন্য কেউ আমাদের কোনও প্রস্তাব দেয়নি। তবে ওই স্কুলে পাঁচিলের বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
তাই স্কুল টাইমে শিশুদের নদীর দিকে যাওয়া আটকাতে শিক্ষক ও গ্রামবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে মশারির জাল দিয়ে স্কুলে বেড়া তৈরি করে দিয়েছেন। অভিযোগ, স্কুলে ইটের পাঁচিলের দাবির বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে একাধিকবার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মিললেও আজও কোন কাজ হয়নি।
মাঝেরডাবরি বিষ্ণুনগরকলোনি নিউ প্রাথমিক স্কুলটি প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত। স্কুলের চারটি শ্রেণীতে পড়ুয়ার সংখ্যা ৭৫। শিক্ষক চারজন। সংকোশ নদীকেই অসম-বাংলা আন্তঃরাজ্য সীমান্ত হিসেবে ধরা হয়। সংকোশের এপাড়ে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লক। সংকোশের ওপাড়ে নিম্ন অসম। মাঝেরডাবরি বিষ্ণুনগরকলোনি নিউ প্রাথমিক স্কুলটি একেবারে সংকোশ নদীর বাঁধের উপরেই। স্কুলের চারপাশে পাকা পাঁচিল নেই। স্কুল থেকে মাত্র ঠিক দু’ফুট পেছনেই সংকোশ নদী। পাকা প্রাচীর না থাকায় স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের নদীর দিকে যাওয়া আটকাতে নদীর দিকে বাঁশ ও মশারির জাল দিয়ে ঘেরা দেওয়া হয়েছে। এজন্য গ্রামবাসীরা বাঁশ দিয়েছেন। শিক্ষকরা মশারির জালের টাকা দিয়েছেন।