কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকালে বডুয়ার সোনাডাঙ্গি গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সোমা বর্মন(১১) এবং প্রতিবশী সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সঙ্গীতা বর্মনকে(১২) বিকালে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায়। এরপর তাদের হদিশ না পাওয়ায় রাতভর খোঁজাখুজি চলে। কিন্তু হদিশ না মেলায় তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলেও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এছাড়াও বাসিন্দারা নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করেন। রাতে পুলিসের নজরেও বিষয়টি নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার সকালে সোমাকে তার বাড়ির কাছের পুকুরে ভাসতে দেখা যায়। এরপর এলাকার বাসিন্দারা মাছ ধরার জাল ফেলে পুকুরে তল্লাশি শুরু করেন। পুকুরের চারদিকে হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। বাসিন্দাদের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিস। সেসময় সঙ্গীতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার পরপর গ্রামের পুকুর থেকে দু’টি মেয়ের নিথর দেহ উদ্ধারের পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সকলেই মর্মান্তিক এই মৃত্যুতে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। এদিন সোনাডাঙ্গি গ্রামে কোনও বাড়িতেই হাঁড়ি চড়েনি। কারো মুখেই সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই।
মৃত সোমার মা চম্বলী দাস বর্মন বলেন, সোমবার সকালে মেয়েকে সুভাষগঞ্জে ওর মামার বাড়ি থেকে নিয়ে আসি। মামাবাড়িতে থেকে মেয়ে লেখাপড়া করত। বিকালে প্রতিবেশী সঙ্গীতার সঙ্গে খেলাধুলা করতে বেরিয়ে যায়। এমনটা হবে জানলে মেয়েকে মামাবাড়ি থেকে নিয়ে আসতাম না। আমার মেয়ে সাঁতার জানত। ওর পুকুরে যাওয়ার কথা ছিল না। আমার সন্দেহ কেউ খুন করে জলে ডুবিয়ে দিয়েছে। মৃতের মায়ের অভিযোগ, সোমবার রাতে এলাকায় তল্লাশি করেও মেয়েকে পাইনি। পুকুরের পাড়ে রাতের দিকে দু’জন যুবককে পালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। যদিও তাদেরকে চেনা যায়নি। আমি মেয়ের ওই মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চাই। মৃত সঙ্গীতা বর্মনের কাকা বীণা বর্মন বলেন, ভাইঝি ও প্রতিবেশীর মেয়ে বিকালে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ির কাছে পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল। ওদের কেউ একজন জলে নেমে হয়ত তলিয়ে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে অন্যজনও তলিয়ে যেতে পারে।
গত ২০ জুলাই রায়গঞ্জের শীতগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের দোহাবাড়ি গ্রামে নাগর নদীর কাছে জলাশয়ে পঞ্চম ও নবম শ্রেণীতে পডুয়া দুই ভাই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিছক খেলতে খেলতেই ওই দুই ভাইবোন জলাশয়ের কাছে যায়। সেখানে ভাইকে তলিয়ে যেতে দেখে বোন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু গভীর জল থাকায় দু’জনেরই জলে ডুবে মৃত্যু হয়। পরপর নাবালক ও নাবালিকার জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসনের আধিকারিকরা। রায়গঞ্জের বিডিও রাজু লামা বলেন, খুবই উদ্বেগেব বিষয়। সাঁতার না জানা কোনও নাবালক নাবালিকা যাতে জলাশয়ের ধারে কাছে না যায় অভিভাবকদের এবিষয়ে সচেতন ও তাঁদের সন্তানদের সতর্ক করতে হবে। ব্লক প্রশাসনও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গ্রামাঞ্চলে সচেতনতার প্রচারের বিষয়ে উদ্যোগ নেবে।