কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, রাতে এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা মনে করা হচ্ছে। তবে কারণ স্পষ্ট নয়। আমরা মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি। তারই ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে।
মৃতের দিদি মাম্পি সাহা মণ্ডল বলেন, কারও সঙ্গে বোনের কোনও ঝগড়াঝাটি বা বিবাদ হয়নি। কারও সঙ্গে বোনের প্রেমের সম্পর্কও ছিল না। আমি এলাকাতেই থাকি। রাতে আমার ছোট মেয়ে ঘরের ভিতরে জল আনতে গিয়ে দেখে ওর মৃতদেহ ঝুলছে। মেয়ে ভয় পেয়ে বাইরে চলে আসে। তখনই আমরা বিষয়টি বুঝতে পারি।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা পুরাতন মালদহ নগর মণ্ডল বিজেপির সম্পাদক সুজিত দাস বলেন, রাতে বাড়ির পাশে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শান্তস্বভাবের মেয়েটি কীভাবে এমন ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে আমরা ভেবে অবাক হচ্ছি। দুর্ঘটনার সময় ওর মা-বাবা বাইরে ছিল। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ পুলিস খুঁজে বের করুক। এটা আমরা পুলিসকে জানিয়েছি।
ওই ছাত্রী ইংলিশবাজার শহরের বাঁশবাড়ি কৃষ্ণমোহন হাইস্কুলে দ্বাদশ শ্রেণীতে কলা বিভাগে পড়াশোনা করত। ওর বাবা বনমালী সাহা শ্রমিকের কাজ করেন। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ওই ছাত্রী প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার তার বাবা মা তীর্থ করতে যান। এখনও তাঁরা বাড়ি ফেরেননি। বাড়িতে ওই ছাত্রী এবং তার তিন ভাই ছিল। তার দুই দিদি বিবাহিত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার আগে তার বান্ধবীদের সঙ্গে কথা বলে। সেসময় বাড়িতে কেউ ছিল না। নিজে সাধারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও বান্ধবীদের স্মার্টফোনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সে সক্রিয় ছিল। গেম খেলেতেও সে ভালোবাসত। সম্প্রতি বান্ধবীদের সঙ্গে একাধিক এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ছবি তুলে সেসব স্যোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করত। মাস দু’য়েক আগে বান্ধবীর সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরা নিয়ে পরিবারের লোকেদের বকাঝকা খায়। সকাল থেকে অনেকে তাকে হাসিখুশি দেখেন। সন্ধ্যার পর ওই ছাত্রীকে বাড়ির বাইরে প্রতিবেশীরা দেখতে পাননি। রাতে তার শোয়ার ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তবে আত্মহত্যার আগে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ বলে সে সুইসাইড নোট লিখে যায়। তাতেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।