বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, শনিবার দিনেরবেলা ওই এলাকার ছয় জায়গায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালন করেছি। সেসঙ্গে ছিল জনসংযোগ যাত্রা। দুপুরে এক পার্টি কর্মীর বাড়িতেই খাওয়া-দাওয়া করি। রাতে দলের দেউচরাই অঞ্চল সভাপতি ফারুক মণ্ডলের বাড়িতে থেকেছি। সেখানেই ভাওয়াইয়া গানের আসর বসেছিল। স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি অসম থেকে আসা ভাওয়াইয়া সঙ্গীত শিল্পীরা এসেছিলেন। আমিও ভাওয়াইয়া গান গেয়েছি। অনেকদিন পর গান গেয়ে খুব ভালো লেগেছে। আমরা সকলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছি।
কলকাতা থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই জেলার নির্দিষ্ট বিধানসভা এলাকায় বিধায়করা তাঁদের মতো করে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালন করছেন। সেসঙ্গে চলছে হেঁটে হেঁটে জনসংযোগযাত্রাও। রবীন্দ্রনাথবাবুও নিয়মিত তাঁর নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে এই কর্মসূচি পালন করছেন। কিন্তু শনিবারের এই কর্মসূচি ছিল অন্য দিনের থেকে কিছুটা আলাদা। এদিন সকাল থেকেই দেউচরাই এলাকার ছ’টি গ্রামে ঘুরে ঘুরে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালন করেন তিনি। সব জায়গাতেই ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। বেশ কয়েক জায়গায় জনসংযোগ যাত্রাও করেন তিনি। সব জায়গাতেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন সর্ম্পকে মানুষকে বোঝান। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা মানুষের সামনে তুলে ধরেন। সকাল থেকে ওই কর্মসূচি পালনের মাঝেই দুপুরে স্থানীয় কালিগঞ্জে পৌঁছন মন্ত্রী। সেখানেই বুথ কর্মী অলক বর্মনের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে নেন। সেই মেনুতে ছিল শাক, সব্জি ও ডিমের ঝোল। এরপর আরও কয়েকটি কর্মসূচি পালন করতে করতেই সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে যায়। এদিকে মন্ত্রীর জনসংযোগযাত্রা ও রাত্রিবাস উপলক্ষে আগে থেকেই ফারুক মণ্ডলের বাড়িতে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁর বাড়ির সামনের ফাঁকা জমিতে বসেছিল ভাওয়াইয়া গানের আসর। শামিয়ানা খাটিয়ে সেখানে শিল্পীরা গান শুরু করতেই ধীরে ধীরে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ভিড় জমে যায়। অসমের বলরামপুর থেকে আসা ভাওয়াইয়া শিল্পীরা সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পাশেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল খাওয়াদাওয়ার। মন্ত্রীর জন্য কালজানি নদী থেকে বোরলি মাছ ধরা আনা হয়েছিল। সেই মাছ দিয়েই রান্না হয়। রাত ৮টা থেকে বসে ভাওয়াইয়া গানের আসর। সেই সঙ্গে খাওয়াদাওয়াও শুরু হয়ে যায়। তারই মাঝে একসময় মন্ত্রী নিজেও একটি ভাওয়াইয়া গান গেয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের মাটির গান, মানুষের অন্তরের গান হল ভাওয়াইয়া সঙ্গীত। তাই সকলের অনুরোধে আমিও একটি ভাওয়াইয়া গান গেয়েছি।