বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
মালদহ সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) ভরত ঘোষ বলেন, আমাদের সার্কেলের বিদ্যালয়গুলিতে নজরদারির ক্ষেত্রে আমরা কোনও খামতি রাখি না। প্রায়দিনই কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়। প্রতিদিন সব বিদ্যালয়ে নজর রাখা সম্ভব হয় না। এটি কোনও সার্কেলই পারে না। তবুও আমরা চেষ্টা করি। যতটুকু পরিদর্শন করি সব বিষয়ের প্রতি নজর রাখি। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে এই পরিদর্শনের দিন এবার আরও বাড়াব। মাসে ২০ দিন বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হবে। আগে ১৩ দিনের মতো বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হতো। যে কোনওদিন যে কোনও মুহূর্তে পরিদর্শনে যাওয়া হবে। একধাপ সকালে যাব। তখন গিয়ে দেখব সময় মতো কতজন শিক্ষক আসছেন, দুপুরে গিয়ে দেখব কোনও বিদ্যালয় ছুটি হয়ে গিয়েছে কিনা। পড়ুয়ারা কতটা শিখছে, কতটা উন্নত হচ্ছে, আরও কী দরকার এসব বিষয় দেখা হবে। এগুলি করলে আগের থেকে পরিস্থিতি অনেক বদল হবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা এই বিষয়ে খুবই সতর্ক রয়েছি।
রাজ্যজুড়েই দীর্ঘ আন্দোলন পর প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিদ্যালয়গুলিতে শিশুদের পড়াশুনা সেভাবে হয় না বলে অভিযোগ। সচ্ছ্বল অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাকা খরচ করে পড়াচ্ছেন। যা গরিব বাবা মায়ের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই গরিব শিশুরা উন্নত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। তাদের শিক্ষায় খামতি থেকে যাচ্ছে। এই অভিযোগগুলি নতুন নয়। অভিভাবকেরা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। অভিভাবকরা বলেন, সিংহভাগ শিক্ষকই তাঁদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না। অনেকেরই মনোভাব আসি যাই মাইনে পাই এধরনের। তবে সব শিক্ষক এক নন। অনেক শিক্ষক দায়িত্ব নিয়ে স্কুলে আসেন। পড়ুয়াদের শিক্ষা দেন। শিশুদের নজরও রাখেন। খেলাধুলো শরীর স্বাস্থ্য নিয়েও বাড়তি নজর দেন। তবে দিন দিন এমন শিক্ষকের সংখ্যা কমছে। একাংশ নিজেদের খেয়াল খুশি মতো স্কুলে আসেন ও বেরিয়ে যান। এরকম প্রবণতা কমাতে রাজ্য সরকার নজরদারি বৃদ্ধির সিদ্বান্ত নিয়েছে। সেইমতোই মালদহ সার্কেলের পরিদর্শকরা স্কুল পরিদর্শনের দিন বাড়িয়েছেন।