কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
বিজেপি’র উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, জেলায় চার লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল। দু’দিন আগের হিসাব পর্যন্ত আমরা ২ লক্ষ ৫৮ হাজার সদস্য সংগ্রহ করেছি। সদস্য পদের জন্য যে পরিমাণ ফর্ম আমাদের ছিল তা বিতরণ করা হয়েছে। সমস্ত হিসাব জেলায় পৌঁছলে বুঝতে পারব এপর্যন্ত কত সদস্য হয়েছে। সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলাকালীন গত মাসে কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অভিযান ব্যাহত হয়েছিল। এবার অতিরিক্ত সময় পাওয়া গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্যের চাইতে বেশি সদস্য সংগ্রহ করব। বিজেপি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, আমরা দ্রুততার সঙ্গে সদস্য সংগ্রহ করছি। মাঝে বিস্তারক যোজনার মাধ্যমে কাজে গতি আনা হয়েছিল। সংগঠনের কোনও দুর্বলতা নেই।
প্রসঙ্গত, ৬ জুলাই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনের দিন থেকে দলের সদস্য গ্রহণ অভিযান শুরু হয়। ১১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। এবার তা বাড়িয়ে ২০ আগস্ট করা হয়েছে। সদস্য সংগ্রহে গতি আনতে মাঝে ২৩ থেকে ৩১ জুলাই বিস্তারক যোজনা চলেছে। জেলা থেকে শুরু করে মণ্ডল ও বুথ নেতৃত্ব মিলে ৯০০ জন বিস্তারক সাত দিন বাড়ির বাইরে অন্য এলাকায় গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করেছেন। একজন বিস্তারককে দিনে ৫০ জন সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে এই কাজ বিঘ্নিত হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী ৫ লক্ষ ১১ হাজার ৬২৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনের শেষে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ করতে বিজেপি মাঠে নেমেছে। তারা দলের প্রাপ্ত ভোটের চাইতে এক লক্ষ কম সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়ার পরেও তা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি। এখন তারা সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলায় বেশি সংখ্যক বিধায়ক চাইছে। তাই বেশি বেশি করে সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে দল ও সংগঠনকে মজবুত করতে চাইছে তারা।
তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস ও সিপিএমের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে মেরুকরণের ভোট হয়েছে। সেইসঙ্গে দেশে মোদি হাওয়াও ফ্যাক্টর হয়েছে। এর ফলেই বিজেপি প্রার্থী বিপুল ভোট পেয়েছেন। এমনও এলাকা আছে যেখানে তারা বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি। তারপরেও রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়েছে। এর থেকেই পরিষ্কার দল হাওযায় ভোট পেয়েছে। কিন্তু বিধানসভা কিংবা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে এমনটি হবে না। স্থানীয় নানা ইস্যুতে ভোট হবে। এজন্য শক্তিশালী সংগঠন চাই। স্থানীয়দের সঙ্গে জনসংযোগ থাকতে হবে। বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি নিচ্ছে। তৃণমূল নেত্রীও বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরে সংগঠনকে মজবুত ও জনসংযোগ বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে।