বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
কিন্তু ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিস নিশ্চিত হয়, বরুণ খুনের ঘটনার সঙ্গে তাঁর মা ধৌলিদেবী কোনওভাবেই যুক্ত নন। বড় ছেলে অরুণই তার ছোট ভাই বরুণকে খুন করে থাকতে পারেন। অরুণ যেহেতু রাজ্য পুলিসে চাকরি করেন সেই কারণে বড় ছেলের চাকরি বাঁচাতে মা ধৌলিদেবী পুলিসের কাছে গল্প ফেঁদেছিলেন তিনি নিজেই ছোট ছেলেকে খুন করেছেন।
কিন্তু রায়গঞ্জে কর্মরত রাজ্য পুলিসের ৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত অরুণবাবু কেন তার ছোট ভাইকে খুন করলেন? ছোট ভাই বরুণ কি সত্যিই মদ্যপ ছিলেন? এসব নানা প্রশ্ন তদন্তকারী অফিসারদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত বরুণবাবু মদ্যপ ছিলেন কি না সেটা ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে। কিন্তু পুলিসের সন্দেহ, ছোট ভাই বরুণের সঙ্গে ওঁরই পরিবারের কোনও মহিলার সম্পর্ক গড়ে উঠে থাকতে পারে। ওই মহিলার বিষয়ে পুলিস খোঁজখবর শুরু করেছে।
পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, ধৃতদের জেরা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি ধৌলিদেবী তার ছোট ছেলেকে খুন করেননি। পারিবারিক সম্পর্ক অবনতির পেছনে ওই পরিবারেরই কোনও মহিলা জড়িত থাকতে পারেন। সেজন্য ধৃতদের আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে।
পুলিস জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ বরুণবাবুকে বাটাম দিয়ে খুন করা হয়। মৃতদেহ গায়েব করার জন্য দেহটি ট্রাঙ্কে ভরে ওঁর দাদা অরুণ শনিবার বিকেলে ফালাকাটা স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যাতে ট্রেনে ট্র্যাঙ্কবন্দি মৃতদেহটি ফেলে দিয়ে প্রমাণ লোপাট করা যায়। কিন্তু স্টেশনে তল্লাশির সময় আরপিএফের নজরে আসে সন্দেহজনক অবস্থায় রাখা ট্রাঙ্কটি। তারপরেই পুলিস ধৌলিদেবী ও তার বড় ছেলে অরুণকে গ্রেপ্তার করে।