বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, শীতলকুচি ব্লকজুড়ে তাণ্ডব শুরু করেছে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী। ওরা প্রকাশ্যে অগ্নয়াস্ত্র নিয়ে মিছিল করছে। পুলিস বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হল। বড়মরিচা বাজারে পুলিসের উপর আক্রমণে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি আমরা করছি। এমনটা চলতে থাকলে এলাকার শৃঙ্খলার ভেঙে পড়বে। এদিন বড়মরিচা ও আকরারহাট বাজারে আমাদের সমর্থকদের দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়। দু’জন কর্মীকে মারধর করা হয়। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, শীতলকুচির বড়মরিচায় পুলিসের উপর আক্রমণের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ওই ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নন। র্যা লির আড়ালে বিজেপি পুলিসের উপর হামলা চালিয়েছে। ওরা আমাদের বদনাম করতে এসব করেছে। পুলিসকে বলেছি, প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করা হোক।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, বড়মরিচায় পুলিসের গাড়িতে হামলা হয়েছে। আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছি। পরিস্থিতি শান্ত হলেও আমরা পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছি।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তৃণমূলের বড়মরিচা বাজার থেকে একটি মোটর বাইক র্যাজলি বের করে। র্যাললির শুরুতেই টহলদারি ভ্যানের পুলিস কর্মীরা তৃণমূলকর্মীদের বাধা দেন। অভিযোগ, ওই সময়ে পুলিসের গাড়িতে আচমকাই র্যা লি থেকে হামলা চালানো হয়। পুলিস ভ্যানের কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মারারও অভিযোগ ওঠে। এতে পাঁচজন পুলিস কর্মী জখম হন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে গোটা বাজার দখলে নেয়। ঘটনাস্থল থেকেই পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয়দের দাবি, এদিন র্যা লিতে অংশগ্রহণকারীদের হাতে অগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ছিল। র্যা লি থেকেই বড়মরিচা বাজারে বিজেপি সমর্থকদের দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। একইসঙ্গে আকরার হাটে লুটপাট করার অভিযোগও জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, তাদের দু’জন কর্মীকে পেটানো হয়েছে। আহত ওই দু’জন এখন মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দিনভর বাজার চত্বর ছিল থমথমে। শীতলকুচিতে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার। অন্যদিকে শুক্রবার রাতে গোঁসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় মধুসূদনের ভাবেরহাট বাজার ও বটতলা বাজারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একাধিক দোকানে ভাঙচুর করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।