বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এদিন বীরপাড়ার একটি ক্লাবের মাঠে বৈঠকটি হয়। বৈঠকের পর বীরপাড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের রমেশ মণ্ডল বলেন, ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে ছোট গাড়ির মালিক ও চালকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে এশিয়ান হাইওয়ে, জাতীয় সড়ক ও সার্ক রোডে যাতে কোনও টোটো না চলে তা দ্রুত দেখা হচ্ছে। এই আশ্বাস পাওয়ার পর ছোট গাড়ির মালিক ও চালকরা সন্ধ্যার পর পরিবহণ ধর্মঘট তুলে নেন।
বীরপাড়া ম্যাজিক ম্যাক্সিক্যাব অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য কার্তিক বর্মন বলেন, যাত্রী স্বার্থে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে আমরা ধর্মঘট তুলে নিয়েছি। ওনারা আশ্বাস দিয়েছে জাতীয় সড়ক, সার্ক রোড বা এশিয়ান হাইওয়েতে টোটো চলাচল বন্ধ করা হবে। কিন্তু এমনটা না হলে ফের আমরা ধর্মঘটের পথে হাঁটব।
বীরপাড়ার ছোট গাড়ির মালিক ও চালকদের অভিযোগ, টোটোর জন্য তাঁদের যাত্রী হচ্ছে না। যাত্রী না হওয়ায় রোজগার তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কগুলিতে টোটো চলাচল বন্ধের দাবিতে ছোট গাড়ির মালিক ও চালকরা এই ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হয়। এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছিল মাদারিহাট ম্যাক্সিক্যাব ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনও।
এদিনের বৈঠকে স্থানীয় টোটো অ্যাসোসিয়েশনগুলিকেও ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, জাতীয় সড়ক, সার্ক রোড বা এশিয়ান হাইওয়েতে টোটো চলার উপর এবার নজরদারি চালাবে পঞ্চায়েত প্রশাসন। গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কগুলিতে টোটো দেখলে পঞ্চায়েতের তরফেই এবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, অনুমোদনহীন টোটো চিহ্নিত করতে সেগুলিকে নম্বর প্লেট দেওয়া হবে। বীরপাড়া-১ পঞ্চায়েত এই নম্বর দেবে। যাতে অন্য এলাকার টোটো অনায়াসেই চিহ্নিত করে সেজন্যই এই পদক্ষেপ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ নিয়েছে।
এদিনের বৈঠকে পুলিসকেও ডাকা হয়েছিল। বীরপাড়া থানার ওসি প্রেমা ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, আমরা আগেই বলেছি এটি পুরোপুরি ব্লক প্রশাসন বা পঞ্চায়েতের বিষয়। ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দেওয়ায় আমরাও খুশি।
প্রসঙ্গত, ছোট গাড়িগুলির এই আচমকা ধর্মঘটে ডুয়ার্সের সংশ্লিষ্ট ওই পাঁচটি রুটের নিত্যযাত্রীরা শুক্রবার থেকে ভোগান্তির মুখে পড়েন। শনিবারও দিনভর এই ভোগান্তি তাঁদের পোহাতে হয়। ছোট গাড়িগুলির আচমকা ধর্মঘটে বাধ্য হয়ে স্বল্প দূরত্বের নিত্যযাত্রীদের দূরপাল্লার বাসে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঠাসাঠাসি করেই যাতায়াত করতে হয়েছে।