কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
প্রশাসনিক কাজে গত দু’দিন শিলিগুড়ির বাইরে ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী। এদিন সকালেই কলকাতা থেকে দার্জিলিং মেলে শিলিগুড়িতে ফেরেন তিনি। পূর্ব ঘোষণা মতো এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শহরের ব্যস্ততম কোর্ট মোড় থেকে ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযানে নামেন। তাঁর সঙ্গে ডেপুটি পুলিস কমিশনার অতুল ভি, শিলিগুড়ি থানার আইসি, ট্রাফিক পুলিসের অফিসার সহ বিশাল পুলিস বাহিনী ছিল। পুলিস কর্মীদের হাতে ছিল লাঠি ও ঢাল। মাথায় ছিল হেলমেট। প্রথমে মন্ত্রী ফুল ও ফল বিক্রেতাদের কাছে ফুটপাত ছেড়ে ব্যবসা করার নির্দেশ দেন। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন ব্যবসায়ী দোকান সরিয়েও নেন। এভাবে তিনি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের গেটের কাছে যান। সেখান এক মহিলা হকার পুনর্বাসনের দাবি তুলে মন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন। ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা যাবে না বলে মন্ত্রী তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন।
সেখান থেকে উলটো দিকে ওষুধের দোকানের সামনে যান মন্ত্রী। সেখানে রাস্তার উপর অসংখ্য বাইক, সাইকেল পার্কিং করে রাখায় মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ট্রাফিক অফিসার ও থানার আইসিকে ডেকে বাইক ও সাইকেলগুলিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। বেআইনি পার্কিং হঠাতে রাস্তায় রাখা রেলিং ফুটপাতের গা ঘেঁসে রাখার নির্দেশ দেন। পাশেই ফুটপাতে তাঁবু খাটিয়ে ফুটপাতে বসে ছিল ফুল ও পাতাবাহার গাছের চারা বিক্রেতা, পুরনো বই বিক্রেতারা। তাঁবু সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদেরকে ফুটপাত ছেড়ে দিতে বলেন মন্ত্রী। সেখান থেকে হাসমিচক হয়ে হিলকার্ট রোডের ফুটপাতে ওঠেন মন্ত্রী। ফুটপাতে থাকা চা, পান ও তেলেভাজার দোকান সরিয়ে দেন। যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের গা ঘেঁসে গড়ে ওঠা তেলে ভাজার দোকান তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ফুটপাত দখল করে রাখা সাইকেলের দোকানের সরঞ্জামও হটিয়ে দেন।
এভাবে মন্ত্রী সেভক মোড় পর্যন্ত যান। সেখান থেকে হিলকার্ট রোডের আরএকটি ফুটপাতে মন্ত্রী অভিযান চালান। এখানে ফুটপাত দখল করে গজিয়ে উঠেছে জুতো, টুপি ও পোশাকের দোকান। কিছু কিছু দোকান বিদ্যুতের ট্রান্সফারের সঙ্গে বাঁশ দিয়ে মাচা বানিয়ে বিপজ্জনকভাবে বসেছিল। যা দেখে মন্ত্রীও আঁতকে ওঠেন। তিনি বলেন, এভাব ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা যাবে না। ফুটপাত ছেড়ে তাক বানিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। আর বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার থেকে দোকান দূরে সরিয়ে নিয়ে যান। এভাবে মন্ত্রী ফুলবাজার পর্যন্ত যান। তাঁর সঙ্গে পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার, কাউন্সিলার নান্টু পাল, তৃণমূলের শিলিগুড়ি টাউন-২ নম্বর কমিটির সভাপতি বেদব্রত দত্ত ছিলেন। সবশেষে মন্ত্রী বলেন, জবরদখল উচ্ছেদ করার দায়িত্ব পুরসভার। তারা এখন ঘুমাচ্ছে। তাই এই অভিযানে নামলাম। এরপর শহরের অন্যান্য রাস্তাতেও এমন অভিযান চালাব। পাশাপাশি, ফুটপাত ব্যবসায়ীদের ছোট ছোট কিয়স্ক করে দেওয়া যায় কিনা তাও ভাবা হচ্ছে। তাঁর এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন পথ চলতি বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অনেকেই।
অন্যদিকে, পুরসভার মেয়র সিপিএমের অশোকবাবু বলেন, উনি পর্যটনন্ত্রী। পর্যটকদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব ওনার। ফুটপাত থেকে জবরদখল উচ্ছেদ করা ওনার রুলে পড়ে না। তবে, আমরাও এধরনের অভিযান চালাই। তখন অবশ্য এত পুলিস পাওয়া যায় না।