বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা পঞ্চায়েত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, শুক্রবার রাতে পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। পুলিসের ডিআইজি, এসপি সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা সেখানে ছিলেন। পুলিস ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছে। ইসলামপুর পুলিস জেলার এসপি শচিন মক্কর বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই এলাকার জাতীয় সড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন বাড়ি ও দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। মৃতের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কাউকেই আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আমাদের কাছে আসেনি। ওই রিপোর্ট এলেই তদন্ত অনেকটা এগিয়ে যাবে। তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে, আর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত ঘটনা পরিষ্কার হবে।
মৃতের স্ত্রী মামনি সরকার পোদ্দার বলেন, আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। পুলিস তদন্ত করে দোষিকে শাস্তি দিক। ঘটনার পরে পরিবারের সবাই ব্যস্ত রয়েছেন তাই এখনও এফআইআর করা হয়নি।
ইসলামপুরের মিলনপল্লিতে কৃপাসিন্ধুবাবুর শ্বশুরবাড়ি। সামন্য দূরেই বরোটে তিনি দ্বিতল বাড়ি তৈরি করছিলেন। শুক্রবার সকালে ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির সামনে বাঁশের সিঁড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গোয়ালপোখরের নন্দঝাড়ে তাঁর আর একটি বাড়ি রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ নন্দঝাড়ের বাড়িতে এক বন্ধুর সঙ্গে খানাদাওয়া করেন কৃপাবাবু। তারপর বাইক চালিয়ে ইসলামপুরে রওনা হন। রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিলেন। সেসময় তাঁর স্ত্রী মিলনপল্লিতে বাবার বাড়িতে ছিলেন। শ্বশুরবাড়ির সামনে গিয়ে স্ত্রীকে ডাকাডাকি করে লুঙ্গি ও গামছা চান। কিন্তু অত রাতে কেউ গেট খোলেননি। বাধ্য হয়েই বরোটে নির্মীয়মাণ বাড়িতে আশ্রয় নিতে যান। সেখানে একটি রুমে থাকার ব্যবস্থা আছে। নির্মীয়মাণ ভবনের সামনে কাজের জন্য শ্রমিকরা কিছু বাঁশ বেঁধে মইয়ের মতো করে রেখেছিলেন। শুক্রবার সকালে সেখানেই কৃপাবাবুর ঝুলন্ত দেহ দেখা যায়। বিছানার চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। কিন্তু পা মাটিতেই ছিল। এই ঘটনা আত্মহত্যা না কি খুন তা নিয়েই রহস্য দানা বাঁধে। প্রশ্ন উঠেছে মাটিতে পা ছুঁয়ে আছে এমন অবস্থায় কি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করা সম্ভব? বাসিন্দাদের অনুমান, দুষ্কৃতীরা শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহটি ঝুলিয়ে দিয়েছে। তবে পুলিস জানিয়েছে, পা মাটিতে থাকার পরেও ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়া সম্ভব। এই ধরনের ঘটনাকে পার্শিয়াল হ্যাঙ্গিং বলা হয়। এখনও পর্যন্ত পুলিসের তদন্তে খুনের প্রমাণ মেলেনি। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।