বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
উল্লেখ্য, একটা সময় ইংলিশবাজার পুরসভার সরবরাহ করা পাড়ার কলের জলই ছিল সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জলের একমাত্র উৎস। সেখান থেকেই জল সংগ্রহ করতেন শহরের বাসিন্দারা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেশিরভাগ কলই ভেঙে পড়ে রয়েছে শহরের এখানে সেখানে। সকাল বিকাল দু'বার জল সরবরাহ করে ইংলিশবাজার পুরসভা। নজরদারির অভাবে ভাঙা কল দিয়ে অঝোরে পড়ে নষ্ট হয় মূল্যবান জল। বর্তমান জল সংকটের সময়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া এই জল আগামী দিনে সমস্যাকে যে গভীরতর করবে তা স্বীকার করেছেন অনেকেই। এই বিষয়টিই নজরে আসতে দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে থাকা কলগুলিকে মেরামতির মাধ্যমে জল সংকট মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেয় ওই তরুণ-তরুণীরা।
রবিবার বিকালে রামকৃষ্ণ মিশন ঘাট সংলগ্ন সংগঠনের দপ্তর থেকে নিজেদেরই জোগাড় করা অর্থে ট্যাপ কল ও মিস্ত্রি জোগাড় করে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। পুরনো ভাঙা কলগুলিকে সরিয়ে সেখানে বসিয়ে দেন নিজেদের কেনা নতুন কল। তরুণ-তরুণীদের পক্ষে জয়দীপ দে, অমিত মিশ্র, সুপর্ণা মানি প্রমুখ বলেন, কয়েকদিন থেকেই ভাবছিলাম জল সংকট নিরসনে আমরা কী করতে পারি। নিজেদের মধ্যে আলোচনাতে উঠে আসে ভাঙা কল সারিয়ে নতুন কল বসিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব। প্রথম দিনের কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। আগামী দিনেও এই কর্মসূচি আমরা চালিয়ে যাব।
এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার ঘোষও। তিনি বলেন, তরুণ-তরুণীরা যে ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছেন তাকে স্বাগত জানাই। সামগ্রিক উদ্যোগ ছাড়া জল সংকটের মোকাবিলা সম্ভব নয়। পুরসভাও আগামী দিনে এবিষয়ে পদক্ষেপ করবে।