বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বর্ষা নামতেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মশাবাহিত ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে জেলাগুলিতে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত কিছু রোগীরও হদিশ মিলেছে। এই অবস্থায় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি কাজ খতিয়ে দেখতে বৈঠক ডেকেছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মশার বংশ নিধন করতে অনেকদিন আগেই গ্রামে গ্রামে ১৫ জনের একটি করে দল গঠন করা হয়েছে। ওই দলে ১০ কর্মী এবং পাঁচজন করে লেবার রয়েছেন। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের জল জমিয়ে না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। রাতে মশারি টাঙিয়ে শুতে বলছেন। একই সঙ্গে এলাকার নিকাশি-নালা, নর্দমা ও জঙ্গল সাফাই করছে। মশা মারার তেলও স্প্রে করা হচ্ছে। এরবাইরে রাজ্য সরকারের নির্দেশে ভিলেজ হেল্থ স্যানিটারি অ্যান্ড নিউট্রিশন কমিটির সদস্যদের নিয়ে সিটিজেন টাস্ক ফোর্স গত মার্চ মাসে গঠন করা হয়েছে। ওই টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাও বাড়ি বাড়ি ঘুরে মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধে গ্রামবাসীদের পরমামর্শ দেওয়ার কথা।
এই সব কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতেই আগামী ২৯ জুলাই শিলিগুড়িতে আটটি জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করবে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। বৈঠকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কালিম্পং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার প্রতিনিধিরা হাজির থাকবেন। এছাড়া, সেখানে জেলাগুলির শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (এসএসকে) ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের (এমএসকে)পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনা করা হবে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ জানিয়েছে, পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে বৈঠকের চিঠি এসেছে। এর প্রস্তুতি চলছে। বৈঠকে দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকেরা উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিলিগুড়ি মহকুমায় গ্রামে গ্রামে ইতিমধ্যেই বিশেষ সাফাই অভিযান শুরু হয়েছে। স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রী, ক্লাবের সদস্য, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য, ধর্মীয় স্থানের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে গ্রামবাসীদের সচেতন করা হচ্ছে। জ্বর হলেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া, রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো— সেব পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কোনও দিন এলাকার স্কুলে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আবার কোনও দিন গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়, ধর্মীয় স্থান, আবার কোনও দিন বাজার, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, সরকারি অফিস চত্বর সাফাই করা হচ্ছে। মশা মারার তেল স্প্রে ও ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে।
তৃণমূল শাসিত বিধাননগর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুজয় মজুমদার বলেন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের নির্দেশে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। গত ১৩ জুলাই থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সাফাই করার অভিযোনে নেমেছি। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি ক্লাবের সদস্যদের এই অভিযানে শামিল করা হয়েছে। ২৮ জুলাই পর্যন্ত এই বিশেষ অভিযান চলবে। তবে, এবার এখনও পর্যন্ত গ্রামে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ায় কেউ আক্রান্ত হননি।