বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, দেশি বিদেশি পর্যটকদের সুবিধার জন্য আমরা নতুন কিছু পদক্ষেপ করি। এদিন হোটেল মালিক, ট্যুর অপারেটরদের নিয়ে বৈঠকে তাঁদের দিক থেকেও বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে। সেসব বিবেচনা করা হচ্ছে। জেলার ওয়েবসাইটে পর্যটকদের সুবিধার জন্য বেসরকারি হোটেলগুলি সর্ম্পকে আমরা তথ্য দেব।
জলপাইগুড়ি ট্যুর অপারেটর ওয়েলফেয়ার আসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সব্যসাচী রায় বলেন, পর্যটন বিকাশে জেলায় পর্যটন মেলা করার প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। বোদাগঞ্জ, খুট্টিমারির টাওয়ার হাউস পুনরায় চালু করার প্রস্তাবও জেলাশাসককে দেওয়া হয়েছে। বৈকুণ্ঠপুর পরগনাকে নতুন ট্যুরিজম সার্কিট ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়েছে। বোদাগঞ্জ থেকে বৈকুণ্ঠপুর পর্যন্ত সাফারি চালু করা হোক।
লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার আসোসিয়েশনের সভাপতি বরুণ সরকার বলেন, বনাঞ্চল এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণেই অনেক পর্যটক আসতে চান না। জঙ্গল সাফারির রাস্তা, বিভিন্ন রিসর্টের সামনের রাস্তাগুলি আমরা দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানিয়েছি। জঙ্গল এলাকায় প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ, থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। কখনও তারস্বরে ডিজে বাজানো হয়। এসব বন্ধ করা দরকার।
জলপাইগুড়ি পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণের অন্যতম স্থান হিসেবে পরিচিত। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এখানে ছুটি কাটাতে আসেন। তবে বিভিন্ন হোটেল, রিসর্ট সর্ম্পকে তথ্য জোগাড় করতে তাঁদের ট্যুর এজেন্সিগুলির উপর নির্ভর করতে হয়। এতে অনেক সময়ে তথ্য পেতে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার আলাদা জেলা হওয়ায় অনেক পর্যটন স্থানও সেখানে চলে গিয়েছে। তাই জলপাইগুড়ি জেলার ওয়েবসাইটের পর্যটন বিভাগে ওয়েবপেজটি সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। জেলায় অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি বেসরকারি হোটেলে, রিসর্টের তথ্যও ওই সাইটে রাখা হবে। পর্যটন বিকাশের জন্য এর সঙ্গে জড়িত স্টেক হোল্ডার হোটেল ওনার্স আসোসিয়েশন, ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন, বনদপ্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। জেলায় পর্যটন মেলা করার প্রস্তাবের বিষয়ে প্রশাসন ভাবতে শুরু করেছে। এছাড়াও করালা নদী সংস্কার করে সেখানে বোটিং চালু, জঙ্গলের আবর্জনা পরিষ্কার করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।