বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষের ভয়ে ওরা জেলায় আসতে পারছেন না। একাধিক লোকের কাছে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলা হয়েছে। আমার কাছে অনেকে অভিযোগ করেছে। তাদের থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য বলেছি। বিজেপির দাবি ভিত্তিহীন। তারা আমাদের দোষ না দিয়ে নিজেদের সদস্যদের সঠিক নিরাপত্তা দিয়ে জেলায় ফিরিয়ে আনুক। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পুলিস ও দুষ্কৃতীদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে। মানুষ এসব বরদাস্ত করবে না। বিপ্লব মিত্র বলেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতী ও পুলিসের ভয়ে বিশ্বনাথ পাহান জেলায় আসতে পারছেন না। এছাড়াও অনেকের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের অপহরণের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বনাথবাবুর মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। বিশ্বনাথবাবুর বালুরঘাটের বাড়িও তালা বন্ধ। এদিকে মফিজউদ্দিন মিঁয়া কেন বাড়ি ছেড়ে আছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও মফিজসাহেবের দাবি, চাপে থাকার কারণে তিনি কলকাতায় আছেন। দ্রুত বাড়ি ফিরে জেলা পরিষদে কাজে যোগদান দেবেন।
গত ২৪ জুন বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে দিল্লিতে গিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১০ সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদানের তিন সপ্তাহ পর জেলায় ফেরেন নয় সদস্য। বিশ্বনাথ পাহান এখনও পর্যন্ত জেলায় ফেরেননি। কেন এতদিন তিনি জেলার বাইরে রয়েছেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া বলেন, একটু চাপে আছি। ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় আছি। অবশ্যই জেলায় ফিরে জেলা পরিষদের কাজে যোগদান করব ।
স্বাভাবিক ভাবে মফিজউদ্দিন মিঁয়া বা জেলা পরিষদের একাধিক সদস্য জেলায় না আসায় জেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। একাধিক রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে থাকলেও সেগুলি চালু হচ্ছে না। এতে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বাড়ছে। খোদ সভাধিপতি লিপিকা রায় জেলা পরিষদের পা রাখছেন না। বিজেপিতে যোগদানের পর তাঁরা কার্যত কোণঠাসা হতে শুরু করেছেন বলেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তাঁদের মধ্যে ভয়ভীতি তৈরি হওয়ায় তাঁরা জেলায় আসছেন না এমনটা বিজেপি দাবি করলেও কেন তাদের নিরাপত্তা দিতে দল পারছে না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বিজেপির ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, দল নবাগতদের পাশেই রয়েছে। তৃণমূল ভয় দেখিয়ে নতুন সদস্যদের জেলায় আসতে দিচ্ছে না।