বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী প্রায় দেড় ঘণ্টা রাস্তার উপরে গাড়িতেই বসে থাকেন। তাঁর দাবি, তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই কারণেই লাঠি, রড নিয়ে এভাবে পথ আটকানো হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও তিনি দাবি করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয় বলে শাসক দলের অভিযোগ। যদিও বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির দাবি, এদিন জেলার অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি কোচবিহার-১ ব্লকেও ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল। তাদের কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেস একই জায়গায় মিছিল করেছে। বহিরাগতদের আনা হয়েছে। কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার আগে এলাকায় বোমা ছোঁড়া হয়েছে। এসবেই ক্ষুব্ধ হয়ে মানুষ মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
ঘটনাস্থলে আটকে থাকা অবস্থাতেই মন্ত্রী বলেন, এলাকায় আমাদের জনসংযোগ যাত্রার কর্মসূচি ছিল। আমি সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে এরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এদের হাতে লাঠি, রড, আগ্নয়াস্ত্র প্রভৃতি ছিল। আমার ধারণা, আমাকে খুন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরা রাজনীতি নিয়ে নোংরামি করছে। আমাদের পার্টি অফিসেও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি পুলিসকে বিষয়টি জানাব।
বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, ধলুয়াবাড়িতে আমাদের ডেপুটেশন বানচাল করার জন্য বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে এলাকায় মিছিল করা হয়। ওই এলাকায় এদিন আগে বোমাবাজি হয়েছে। মন্ত্রী নিজে গণ্ডগোল সৃষ্টি করেছেন। এতেই মানুষ ক্ষেপে গিয়ে তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায়। আমাদের কেউ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছিল না। আমাদের কেউ ওদের পার্টি অফিসও ভাঙেনি। ওরা নিজেরাই এসব ভেঙেছে।
বেশ কিছু দিন ধরেই রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। ওই সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনীতি বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে বার বার এই বিক্ষোভের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলায় ব্যাপক চর্চা ছড়িয়েছে।
এদিন বেলা ১১টা নাগাদ পানিশালায় জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দেন মন্ত্রী। পাশেই কোচবিহার-১ বিডিও অফিসে বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল। সেখানে প্রচুর বিজেপি কর্মী জমায়েত হন। মন্ত্রী জনসংযোগ যাত্রা সেরে ফেরার পথে বিজেপি কর্মীরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।