বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এব্যাপারে পুর চেয়ারম্যান বলেন, শহরের বেশকিছু জায়গায় নিকাশি নালা বুজে গিয়েছে। নালার উপরে কংক্রিটের স্ল্যাব থাকায় তা পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। বাসিন্দারা বাড়ির সামনে নালার উপর ওইসব স্ল্যাব তৈরি করেছে। ফলে আমরা চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছি। স্ল্যাব সরিয়ে নালা সংস্কারের কাজ শুরুর ব্যাপারে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করব। পাশাপাশি আগামী দিনে রাস্তার নীচে হাইড্রেন তৈরি চেষ্টা করা হবে। তা হলে নিকাশি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, নালার আগে শহরের জল একটি নিকাশি নালা বেয়ে চাতরা বিলে গিয়ে পড়ত। ফলে বৃষ্টির জল বেরতে সমস্যা হতো। সম্প্রতি আমরা একটি নতুন নালা তৈরি করেছি। ওই নালা দিয়ে শহরের জল মহানন্দা নদীতে গিয়ে পড়বে। কিন্তু কিছু জটিলতার জন্য ওই নালা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। আশা করি দ্রুত উদ্ভুত সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।
উল্লেখ্য, এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ ইংলিশবাজার শহরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ মুষলধারে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির জেরে শহরের রামকৃষ্ণপল্লি, সারদাপল্লি, বিবেকানন্দপল্লি, মীরচক, চিত্তরঞ্জন পুরবাজার, বিনয় সরকার রোডের বেলতলা এলাকায় জল জমে যায়। ওইসব এলাকার রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নিকাশি নালার জল উপচে রাস্তার উপর পড়ে। ফলে নালার নোংড়া আবর্জনা বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে দুর্বিসহ অবস্থা হয়। শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চপল্লি এলাকায় বেশকিছু বাড়িতে জল ঢুকে যায়। তবে বিকেলের মধ্যে ওইসব এলাকা থেকে জল নেমে যায় বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে, অল্প বৃষ্টিতে শহর জলমগ্ন হওয়ায় পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাজকর্ম নিয়ে শহরবাসীরা সমালোচনা শুরু করেছেন। নিয়মিত নালা সংস্কার করলে এই অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে না বলে তাদের অভিমত। শহরবাসীর অভিযোগ, নালা পরিষ্কার করার জন্য পুরকর্মীদের ওয়ার্ডে সচরাচর দেখা যায় না। বর্ষার সময় মাঝেমধ্যে কোদাল-বেলচা ও ঠেলাগাড়ি নিয়ে তারা হাজির হয়। কিন্তু ওইসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কারণ অধিকাংশ নালা বৃষ্টি জলে ভর্তি থাকে। গ্রীষ্মের মরশুম থেকে নালা পরিষ্কারে পুরকর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হলে সমস্যা এড়ানো যাবে বলে শহরবাসী মনে করে।
বেলতলা এলাকায় পথচারীদের মধ্যে শৈবাল দাস, খোকন শেখ বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই বারবার ইংলিশবাজার শহর জলমগ্ন হচ্ছে। অথচ এব্যাপারে পুরকর্তৃপক্ষের হুঁশ ফিরছে না। এদিন দুপুরে হাঁটু সমান জল পেরিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। ফলে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। কোনও কারণে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে জলের মধ্যে পড়লে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটবে। অবিলম্বে বিষয়টি পুরসভার দেখা উচিত।
পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা সারাবছর নিয়মিত নিকাশি নালা পরিষ্কার করি। সারা বছর রাস্তার পাশে বসা অস্থায়ী খাবারের দোকান থেকে থার্মোকল, প্লাস্টিকের সামগ্রী নিকাশি নালায় ফেলা হয়। ফলে নালার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তা বর্ষার সময় সমস্যার সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেই জল বের হতে সময় লাগে। ফলে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর জলমগ্ন হচ্ছে। বিষয়টি আমরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। এব্যাপারে শহরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।