বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন রতুয়া-১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলেই জানিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, যে সব মানুষ জলমগ্ন এলাকা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের জন্য ব্লক প্রশাসনই অস্থায়ী বাসস্থান বানিয়ে দেবে। এছাড়াও, কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে থাকার কারণে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না ওই সব এলাকার ছাত্রছাত্রীরা। তাদের জন্য এদিনই দুটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও চারটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও নৌকা দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনগুলিকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রতুয়া-১ ব্লকের বিলাইমারি এলাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর এসেছে। ফুলহার নদীতে ডুবে গিয়েই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নদীতে ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। তাদের অনেকেরই বক্তব্য ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে সময় মতো ত্রাণসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, শুকনো খাবার তো দূরে থাক এখনও পর্যন্ত মাথা গোঁজার মতন ত্রিপল ও জোটেনি ব্লক প্রশাসনের কাছ থেকে। এই বিষয়ে রতুয়া-১ ব্লকের বিডিওকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ত্রাণ নিয়ে বড় কোনও অভিযোগের কথা এখনও কানে আসেনি। জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। যেখানে যেমন প্রয়োজন হবে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসন গুলিকে এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখার্জি বলেন, বেশ কিছু এলাকায় এখনও জলমগ্ন রয়েছে। মানুষ ত্রাণ সামগ্রী চাইছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও ছোটখাট সমস্যা রয়েছে। সেগুলি দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা হচ্ছে।
এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ইসলামপুর ও দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা ফুলহারের জলে প্লাবিত রয়েছে। এলাকার বহু মানুষ গৃহহারা হয়ে বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন। এই অসহায় মানুষের কাছে ত্রিপল সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে। সংগঠনের পক্ষে বুলবুল খান, আশরাফুল হক, রাজু ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি হরিশচন্দ্রপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসী ও প্রশাসন এর সহযোগিতায় হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ভাকুরিয়া, কাওয়াডোল, মিঁয়াহাট সহ আশেপাশের বহু গ্রামে ত্রাণ বিলি করা হয়। সংগঠনের পক্ষে তনুজ জৈন বলেন, গৃহহারা মানুষকে খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে।