বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
গঙ্গারামপুর পুরসভার অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন, যারা নব্য বিজেপি হয়েছেন তাঁরা আমাদের তৃণমূল কাউন্সিলারদের উপর হামলা করতে পারেন। ঘোড়া কেনাবেচা করতে পারেন। তাই আমারা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে রয়েছি। এরজন্য আমরা বর্তমানে জেলা থেকে অন্যত্র আছি। অনাস্থার মিটিংয়ের দিন ঠিক হলে জেলায় ফিরব। আমরা তৃণমূলের কাউন্সিলররা একসঙ্গে থাকলে ওদের অসুবিধে কোথায়? নব্য যারা বিজেপিতে গিয়েছেন তারা আমাদের কাউন্সিলারদের কেনার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে চেষ্টা করছেন। টাকার প্রলোভন দেখাচ্ছেন। তাই আমরা অন্যত্র রয়েছি। যে চেয়ারম্যান পুরসভায় এতো কিছু করলেন, আমাকে অপসারণ করলেন। অথচ তিনি মিটিং ডাকতে পারছেন না কেন? তাঁর প্রভাব কোথায় গেল?
এদিকে পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন, শেষ কথা সময় বলবে। আমরা কাউকে আটকে রাখিনি। আমার বিরুদ্ধে যে সব কাউন্সিলার অনাস্থা এনেছেন তাঁরা আমার কাছে এসে স্বীকার করেছেন ভয় দেখিয়ে তাঁদের দিয়ে অনাস্থা নোটিসে সই করিয়েছেন অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান। আমরা গঙ্গারামপুর পুরসভার কাউন্সিলাররা একটি পরিবারের মতো ছিলাম। অমলেন্দুবাবু আমাদের কাউন্সিলারদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করেছেন। গঙ্গারামপুরে আমি যে উন্নয়ন করেছি তা তাঁরা স্তব্ধ করে দিয়ে সব দোষ আমার ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন। তার জন্য কাউন্সিলারদের জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গোপন ডেরায় রেখেছেন। আমি কাউকে আটকেও রাখিনি। কাউকে টাকা দিয়ে কিনতে যাইনি। ভয়ও দেখতে যাইনি। আমার প্রতি কাউন্সিলারদের যে ভালোবাসা রয়েছে মিটিং ডেকে তার প্রমাণ দিয়ে দেবো।
গঙ্গারামপুর পুরসভায় অনাস্থা নিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও দলের বহিষ্কৃত পুর চেয়ারম্যান প্রশান্তবাবুর ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র তথা প্রশান্তবাবুর দাদা সদ্য বিজেপিতে যোগদান করেছেন। প্রশান্তবাবু এখনও বিজেপিতে যোগদান না করলেও তিনি লোকসভা ভোটের পরপরই বিজেপি’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে নেন। এরপর দীর্ঘদিন জেলার বাইরে থাকেন। বিপ্লববাবু সদলবলে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তৃণমূল প্রশান্তবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করে। ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তৃণমূলের নয়জন কাউন্সিলার প্রশান্তবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। বিপ্লববাবুরা জেলায় ফিরে এলে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের নয়জন কাউন্সিলারকে গোপন ডেরায় নিয়ে চলে যায়। তৃণমূল জেলায় ক্ষমতায় থাকার সময় বিপ্লব মিত্রের হাত দিয়েই গঙ্গারামপুর পুরসভার দখল নেয় দল। সেই জন্য বিপ্লব মিত্র জেলায় এসে নিজের ভাই প্রশান্ত মিত্রের হয়ে যাতে কাউন্সিলারদের মধ্যে কোনওরকম প্রভাব খাটাতে না পারেন তাঁর জন্য তৃণমূল কৌশলে নিজেদের কাউন্সিলারদের সরিয়ে নেয় বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। উল্লেখ্য, গঙ্গারামপুর পুরসভায় ১৮ জন কাউন্সিার রয়েছেন। এরমধ্যে একজন বিজেপি’র বাকিরা সব তৃণমূলের ছিলেন।