বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় শুধুমাত্র ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে ছিল। লোকসভা নির্বাচনে পরে সেই সংখ্যা ৫৮ দাঁড়িয়েছে বলে বিজেপি দাবি করেছে। পঞ্চায়েত সদস্যরা যাতে কাটমানি খেতে না পারে তার জন্য প্রতিটি পঞ্চায়েতে বুথ পিছু পিছু দুইজন করে নজরদার জুড়ে দিয়েছে বিজেপি। অঞ্চল স্তরে কমিটি তৈরি করে তিন জন জেলা কমিটির সদস্যও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষের কাছে পরিষেবা যাতে সুষ্ঠুভাবে দেওয়া যায় সেই জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট অঞ্চল কমিটি তৈরি করছে। প্রশাসনিক কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি সহ জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়ে কমিটি তৈরি করা হচ্ছে।
বিজেপি’র কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, জেলায় ৫৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের দখলে রয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে বুথপিছু দুইজন করে দলীয় সুপারভাইজার জুড়ে দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সাত জন সদস্য ও তিন জন জেলা কমিটির সদস্যকে নিয়ে অঞ্চল কমিটির তৈরি করা হয়েছে। কাটমানি যাতে জনপ্রতিনিধিরা নিতে না পারে সেই বিষয়ে দল নজরদারি চালাবে। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে যাবতীয় কাজ ওপেন টেন্ডার করে করা হবে।
বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় বিপুল সাফল্য পায় তৃণমূল কংগ্রেস। অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করে তারা। পঞ্চায়েতে বিপুল ক্ষমতায় জয়ী হলেও লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে তারা। শহরে তৃণমূলে ধুয়ে মুছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি এলাকা ছাড়া গ্রামগঞ্জেও দাগ কাটতে ব্যর্থ হয় তারা। পঞ্চায়েতের সাফল্য নিয়ে কোচবিহারে শাসক শিবির মাতামাতি করলেও তা যে কতটা অন্তঃসারশূন্য ছিল লোকসভা নির্বাচনেই তা প্রমাণ হয়ে যায়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতা দখল করেই দুর্নীতির পাঁকে পা আটকে যায় তৃণমূল নেতাদের। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের উপর দলের নিয়ন্ত্রণও সেভাবে ছিল না। পেশীবলে ভোটে জয়ী হওয়াতে মানুষের কাছ থেকে অনেকটা দূরে সরে যায় তারা। একশো দিনের কাজ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ব্যাপক কারচুপি শুরু হয়। একশো দিনের কাজ, সরকারি আবাস যোজনা, বার্ধক্যভাতা সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে ব্যাপক পরিমাণে কাটমানি খেতে শুরু করেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। মানুষ সঠিক সরকারি পরিষেবা থেকে যত বঞ্চিত হতে থাকে ততই তৃণমূল নেতাদের একাংশের অট্টালিকা মাথা তুলতে থাকে। লোকসভা নির্বাচনে এর জবাব পেয়ে যায় শাসক দল।
এবার তৃণমূলের করুণ দশা থেকে শিক্ষা নিতে চাইছে বিজেপি। তারা অঞ্চল কমিটিতে স্থানীয় শিক্ষিতদের পাশাপাশি জেলা নেতৃত্বকে যোগ করেছে। দল স্থির করেছে ওই কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে অঞ্চল পরিচালনা করবেন প্রধান। স্থানীয় স্তরে উন্নয়ন সহ পরিষেবা প্রদানে কমিটির মতামতই প্রাধান্য পাবে। পঞ্চায়েত সদস্যরা যাতে কাটমানি খেতে না পারেন সেই লক্ষ্যেই দলীয় সুপারভাজার নিয়োগ করেছে তারা। পঞ্চায়েতের মাথায় বসিয়েছে কমিটি।