বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এবিষয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূল কংগ্রেসের রঞ্জন সরকার বলেন, পুরসভার লোকবল যথেষ্ট। যদিও প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধের বিষয়ে শিলিগুড়ি পুরসভা লাগাতার অভিযান চালাতে অক্ষম। আমরা বুঝতে পারছি না কেন এমনটা হচ্ছে। তবে পুরসভা চাইলে দিন কয়েকের মধ্যেই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে ইতি টানতে পারে। যদিও আমরা লক্ষ্য করছি পুরসভা কর্তৃপক্ষের কোথাও একটা সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, বিরোধীরা ইস্যু তোলে মাত্র। পুরসভা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধে কাজ করছে। সেটা অবশ্য বিরোধীদের নজরে আসে না। কিন্তু শিলিগুড়ি পুরসভা যথেষ্ট উদ্যোগী হলেও রাজ্যের শাসক দল পরিচালিত পুরসভাগুলিতে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধের কোনও উদ্যোগ নেই। তবে শুধু পুরসভা উদ্যোগী হলে হবে না সাধারণ মানুষকেও সমানভাবে উদ্যোগী হয়ে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে হবে।
প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধের বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে শিলিগুড়ি পুরসভায় ক্ষমতাসীন হতেই সচেষ্ট হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। শুরুতেই হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছিল পুরসভার তরফে। এরপর একাধিকবার সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চালানো হয়। তাতেও কাজ হয় না। এরপর পুরসভা উদ্যোগ নিয়ে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে জরিমানা আদায়ের কাজ শুরু হয়। সেই অভিযানে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কেই জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বাজেয়াপ্ত করা হয়। যদিও পুরসভার সেই অভিযান একটানা না চলার জেরেই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার অব্যাহত বলেই অভিযোগ। এবিষয়ে পরিবেশপ্রেমী তথা ন্যাফের আহ্বায়ক অনিমেষ বসু বলেন, পুরসভা যদি লাগাতার অভিযান চালাত তবে সম্ভবত প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করা সম্ভব হতো। তবে অভিযানের কোথাও একটা খামতি রয়েছে। ফলস্বরূপ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধ করা একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না। যদিও আমরাও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে প্রশাসনিক কঠোরতা না হলে সম্ভবত প্ল্যাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহারে ইতি টানা সম্ভব হচ্ছে না।