বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন বলেন, হাসপাতালের একমাত্র রেডিওলজিস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দিয়ে চলে গিয়েছেন। সেই থেকে রোগীদের বাইরে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে নিতে বলা হচ্ছে। রেডিওলজিস্টের জন্য স্বাস্থ্যভবনকে বলা হয়েছে। হাসপাতালে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এসেছেন। তিনি এখনও কাজে যোগ দেননি।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের পাশেই আল্ট্রাসোনোগ্রাফির ঘর। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন রোগী আসেন বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা করতে। কোনও কোনও দিন শতাধিক রোগীও আসেন। কিন্তু এপ্রিলের গোড়া থেকে মেশিন বন্ধ হয়ে আছে। এরফলে প্রতিদিন মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গর্ভবতী মহিলারা হাসপাতালে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া পেটের ব্যথা, পেটে বা কিডনিতে পাথর হওয়া রোগীরাও বিনামূল্যে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে এসে ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রুক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ।
অভিযোগ উঠেছে, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করতে না পেরে একদিকে রোগী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনরা যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তেমনি জেলার দূরদূরান্ত থেকে হাসপাতালে আসা যাওয়ার জন্য তাদের অর্থেরও অপচয় হচ্ছে। আরও অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট না দিয়ে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করতে আসা রোগীদের ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরের নার্সিংহোমে পাঠানো হচ্ছে। বাধ্য হয়ে রোগীদের বাইরে মোটা টাকা খরচ করে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করতে হচ্ছে। এদিকে গত এক বছর ধরে জেলা হাসপাতালে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকাতেও ক্ষোভ বাড়ছে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে। চর্মরোগে আক্রান্ত রোগীরাও হাসপাতালের আউটডোরে এসে প্রতিদিন ফিরে যাচ্ছেন। এনিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রতিদিন একটু একটু করে ক্ষোভ দানা বাঁধছে।
জেলা হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকার প্রতিবাদে সম্প্রতি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তুমুল বিক্ষোভও দেখিয়েছে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক কর্তা হুমকি দিয়েছেন, দ্রুত আল্ট্রাসোনোগ্রাফি মেশিন চালু না হলে ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ না হলে তাঁরা আরও বড় আন্দোলনে যাবেন।