বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর বাস-মিনিবাস ওনারর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের জেলায় স্থায়ীভাবে কোনও পরিবহণ আধিকারিক নেই। বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের দিয়ে এই দপ্তর চালানো হচ্ছে। এর ফলে জেলার দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ পরিবহণ সংক্রান্ত কাজের জন্য দপ্তরে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেই কারণেই আমরা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে এখানে স্থায়ী পরিবহণ আধিকারিক চেয়ে আবেদন করেছি।
জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবহণ আধিকারিক বিরাজকৃষ্ণ পাল বলেন, এই অভিযোগগুলি যুক্তিসঙ্গত নয়। আমরা মানুষের পরিষেবা দিতে দিন রাত কাজ করছি। তবে স্থায়ী পরিবহণ আধিকারিক নিয়োগের প্রসঙ্গে কিছু বলতে পারব না।
বাস মালিকদের সংগঠনের দাবি, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে জেলায় স্থায়ী পরিবহণ আধিকারিক নেই। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা বিভিন্ন সময়ে এই দপ্তরটির দায়িত্বে থাকছেন। অভিযোগ, জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ নানা কাজে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত পরিবহণ দপ্তরের অফিসে আসেন। বাস, ট্রাক, ট্রেকার সহ বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান থেকে শুরু করে পরিবহণ সংক্রান্ত সমস্ত কাজই এই দপ্তর থেকে হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দপ্তরটিতে বেশকিছু দিন ধরেই কখনও সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক, কখনও অতিরিক্ত জেলাশাসক, কখনও বা জেলা পরিষদের এক্সিকিউটিভ অফিসারদের দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। লাইসেন্স রিনিউ, স্পেশাল পারমিট নেওয়া, কোনও প্রয়োজনীয় নথির ডুপ্লিকেট তোলা সহ একাধিক কাজে মানুষকে এখানে আসতে হয়। কিন্তু সেখানে স্থায়ী আধিকারিক না থাকায় এই সব কাজের ক্ষেত্রে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যদিও পরিবহণ দপ্তর সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, দপ্তরের কাজ সঠিক ভাবেই চলছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম মাফিক কাজের কড়াকড়ি করা হয়েছে বলে অনেকে এই ধরনের অভিযোগ তুলছেন।