বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
লাগাতার বর্ষণ চললেও সে অর্থে উত্তরের চার জেলায় বন্যার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে লাগাতার বৃষ্টিতে বুধবার সকালের দিকে চার জেলার বেশকিছু এলাকায় জল জমে যায়। দুপুরের দিকে সর্বত্র জল নেমেও যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহারে ৭০.৪০, দিনহাটায় ৭৩.০২, আলিপুরদুয়ারে ১৫২.০৬ এবং হাসিমারাতে ২৭.০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জল বেড়ে যাওয়ায় সেচ দপ্তর জলপাইগুড়ির দোমহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তায় হলুদ সংকেত জারি করেছে। জলঢাকা, করলা ও ডায়না সহ জলপাইগুড়ির অন্যান্য নদীতেও জল বাড়ছে। দিনভর হালকা বৃষ্টিতে ময়নাগুড়ি বাজার, বিডিও অফিস চত্বর, ঝাঝাঙ্গি, ধূপগুড়ি ও ময়নাগুড়ি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের খানাখন্দে জল জমে যায়। মালবাজার ও নাগরকাটার অনেক এলাকাতেও জল জমে যায়। তবে দুপুরের দিকেই সব জায়গা থেকে জল নেমে যায়।
দিনভর বর্ষণে কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে যায়। দিনহাটার কলেজপাড়া, দিনহাটা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড, কোচবিহারের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বৃষ্টির জলে প্লাবিত হয়। কোচবিহার জেলা সদরে দিনভর বৃষ্টিতে কোচবিহার বাস টার্মিনাস, কলাবাগান ও সাগরদিঘি এলাকায় মহকুমা শাসকের দপ্তরের আশপাশ এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়। তবে আলিপুরদুয়ারের নদীগুলিতে জল তেমন বাড়েনি। একমাত্র কুমারগ্রামের সংকোশ নদীতে ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টিতে জল বেড়েছে। সেচ দপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার নীরজ সিং বলেন, গত ২৪ ঘণ্টা ধরেই ভুটান পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। তার জেরেই সংকোশে জল বেড়েছে। সেজন্য সংকোশ নদীর উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা হয়েছে। লাগাতার বর্ষণের জেরে বারোবিশা চৌপথি, বারোবিশা-কুমারগ্রাম ও বারোবিশা-জোড়াই রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে বুধবার সকালে হাঁটু সমান জল বয়ে যায়। দুপুরের দিকে জল নেমেও যায়। এদিকে জল ধারণেরর ক্ষমতা না থাকা পাহাড়ি খরস্রোতা নদী হাউড়ি, বাংরি ও তিতির জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাদারিহাট-টোটোপাড়া ২২ কিমি রাজ্য সড়কের অনেক অংশ। এদিকে, বুধবার দিনভর বর্ষণে শিলিগুড়ির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেবাশিস কলোনি, রেল হাসপাতালের উল্টো দিকে অম্বিকানগর, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বর, ডাবগ্রাম-২ পঞ্চায়েতের মাঝাবাড়ি ও ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। পরে অবশ্য জল নেমে যায়।