বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
উল্লেখ্য, মালদহের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় থাকা কিশোরীরা। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কন্যাশ্রীরা পড়াশুনায় আগের চেয়ে বেশি মনোনিবেশ করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এবার তাদের নতুন উদ্যোগ ডেঙ্গু সহ বিভিন্ন পতঙ্গবাহী রোগের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে শামিল হওয়া।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ৮ জুলাই থেকে কন্যাশ্রী বাহিনীকে এই যুদ্ধে শামিল করেছে জেলা প্রশাসন। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে কন্যাশ্রীরা। প্রথম পর্যায়ে ৭৪টি কন্যাশ্রী ক্লাবকে শামিল করা হয়েছে এই প্রচার অভিযানে। প্রতিটি দলে রয়েছে অন্তত ২০ জন।
কন্যাশ্রীরা এলাকায় বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী নিজেরাই একটি প্রশ্নপত্র তৈরি করে ফেলেছে। সেই প্রশ্নপত্র নিয়ে এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চাইছে, বাড়িতে কেউ জ্বরে ভুগছে কি না, জ্বর বেশ কিছুদিন ধরে থাকলে তাঁরা রক্ত পরীক্ষা করিয়েছেন কি না, বাড়িতে গবাদি পশু রয়েছে কি না, যদি থাকে তাহলে সেই গবাদি পশুগুলির নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা সেগুলিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে কি না এসব।
এই সব প্রশ্নোত্তরের মাঝেই বাহিনীর অন্য সদস্যরা দ্রুত চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে বাড়ির কোথাও পরিষ্কার জল জমে রয়েছে কি না। তেমনটি নজরে এলেই পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ করা হচ্ছে দ্রুত ওই জল অপসারণের জন্য। রাস্তার চারপাশেও নজর রাখছে কন্যাশ্রীরা। কোথাও জলের রঙ সন্দেহজনক মনে হলেই সঙ্গে থাকা সিরিঞ্জে দ্রুত সেই জল সংগ্রহ করে নিচ্ছে তারা। পুরে রাখছে টেস্ট টিউবে।
এইভাবে কন্যাশ্রীদের নিয়মিত অভিযান চলছে জেলা জুড়ে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অশোক মোদক বলেন, কন্যাশ্রীরা যেভাবে কাজ করছে তাতে আমরাও উৎসাহিত। জেলাজুড়ে ডেঙ্গু ও অন্যান্য পতঙ্গবাহিত রোগ রুখতে কন্যাশ্রীদের এই কর্মকাণ্ড সত্যিই অতুলনীয়। জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক অরিন্দম ভাদুড়ী বলেন, আগামীতে আরও বেশি সংখ্যায় কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যরা নামবে পতঙ্গবাহিত রোগ রুখতে। কন্যাশ্রীদের একটি করে বাক্স দেওয়া হচ্ছে। তাতে থাকছে গ্লাভস, মাস্ক, সিরিঞ্জ সহ প্রয়োজনীয় সব কিছুই। সঙ্গে থাকছেন শিক্ষক শিক্ষিকারাও।
কোথাও সন্দেহজনক কিছু নজরে এলেই বিদ্যালয়ের মাধ্যমে কন্যাশ্রীরা তা জানিয়ে দিচ্ছেন ব্লক কিংবা পুর প্রশাসনের কর্তাদের। কখনও ব্লক বা পুর স্তর স্তর থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আবার প্রয়োজন হলে তা রেফার করে দেওয়া হচ্ছে জেলা প্রশাসন বা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের কাছে। আজ বৃহস্পতিবার এই অভিযানে নামা কন্যাশ্রীদের মুখোমুখি হবেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য। ইংলিশবাজারের সদরঘাট এলাকায় প্রচার চালানো এক কন্যাশ্রী মৌমিতা হালদার বলেন, আমাদের পড়াশোনার বিন্দুমাত্র ক্ষতি হচ্ছে না। বরং আমরা এই নতুন দায়িত্ব উপভোগ করছি। দারুণ লাগছে।