উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
রাজুবাবু বলেন, তৃণমূল থেকে অনেকেই বিজেপিতে আসছেন। তাদের কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে কিনা সেটা যাচাই করে তবেই দলে নেওয়া হবে। সমস্তস্তরে এ ব্যাপারে নজরদারি রয়েছে। স্থানীয় স্তরে কথাবার্তা বলেই তাদেরকে দলে নেওয়া হবে। তিনি দাবি করেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। দোষী পুলিস আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গঠন করার ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন মহলে আবেদন জানাব। অন্যদিকে বিজেপিতে আসার পরেই পদ দেওয়া হবে কিনা সেই প্রসঙ্গে রাজুবাবু অতীতের একাধিক নজির তুলে ধরে দলে আসলেই তাঁকে যে পদ দেওয়া হবে না সে ব্যাপারেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহভাগ সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূলত পিঠ বাঁচানোর জন্য অনেকে বিজেপিতে যোগদান করছেন। তবে এর জেরে নব্য ও আদি বিজেপির মধ্যে সংঘাত তৈরি হচ্ছে। দলের একাংশের মতে যে তৃণমূল নেতাদের হাতে এতদিন বিজেপির কর্মীরা অত্যাচারিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাদেরকেই কার্যত জামাই আদর করে দলে আনা হচ্ছে। এর জেরে আগামী দিনে ব্যাপক সমস্যা হতে পারে। সম্প্রতি কোচবিহারের মাতাল হাটের কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এরপরই বিজেপির পুরনো কর্মীরা দলের জেলা কার্যালয়ে এসে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা দলের জেলা সভাপতি ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে স্লোগান তুলেছিলেন। রীতিমত পোস্টার নিয়ে তারা বিজেপির জেলা দপ্তরে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিলেন। এর জেরে দল যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে। গোটা বিষয়টি রাজ্য বিজেপির নজরে আসে। এরপরই তারা নড়েচড়ে বসেছেন। দলের একাংশের আশঙ্কা, দলের মধ্যে যেভাবে বেনোজল ঢকছে তা আটকাতে না পারলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা আদি ও নব্য বিজেপির মধ্যে সংঘাত চূড়ান্ত হতে পারে। তার জেরেই রাজ্য বিজেপি জেলা বিজেপিকে সতর্ক বার্তা দিয়েছে। দল বুঝিয়েছে, আবেদনকারী সকলকেই বিজেপিতে নেওয়া হবে এমনটা নয়। অতীতে তারা কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না সেটা যাচাই করে দেখার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে এদিন বিজেপির জেলা কার্যালযয়ে রাজুবাবুর উপস্থিতিতে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। সেখানে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লক থেকেও নেতৃত্বরা হাজির ছিলেন। মূলত আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে এখন কীভাবে এগতে হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলের রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো ফলাফল করবে সেটা আগাম বোঝা গিয়েছিল। প্রত্যাশিতভাবেই তৃণমূল কার্যত নির্মূল হয়ে গিয়েছে। জেলায়় দলের দায়িত্ব আরও বেড়েছে। স্থানীয়স্তরে প্রশাসন চালানোর ব্যাপারে বিজেপির নেতা কর্মীরা অন্যতম ভূমিকা নিচ্ছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও ভাবেই যাতে কোথাও অনিয়ম যাতে না হয়, বাসিন্দাদের মধ্যে ভুল বার্তা না যায় সে ব্যাপারেও এদিন সতর্ক করা হয়েছে।