উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম বৃদ্ধ চাঁদ মহম্মদ কোচবিহারের বক্সিরহাটে শ্বশুরবাড়িতে থেকে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার দুই জেলার গ্রামীণ হাটগুলিতে ঘুরে ঘুরে কবিরাজি ওষুধ বিক্রি করেন। এদিন সকালে তিনি দক্ষিণ পাটকাপাড়া গ্রামের সিরুবাড়ির রাস্তা দিয়ে পাটকাপাড়া চা বাগানের হাটে ওষুধ বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। গ্রামে ছেলেধরা গুজব থাকায় ওষুধের ঝোলা সহ অচেনা ওই বৃদ্ধকে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। পুলিসের বয়ান অনুসারে, তারপরেই মুহূর্তের মধ্যে প্রায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে যায়। শুরু হয় ছেলেধরা সন্দেহে বৃদ্ধকে গণপিটুনি। বৃদ্ধকে মাটিতে ফেলে এলোপাথারি লাথি, চড়, কিল ও ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিস গিয়ে জখম বৃদ্ধকে উদ্ধার করে। ছেলেধরা সন্দেহে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের পাটকাপাড়া মৌজায় গত বেশ কয়েকদিন দিন ধরেই নানা গুজব ছড়াচ্ছিল। আতঙ্কিত বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিসকে জানিয়ে গ্রামে রাত পাহারাও দিচ্ছিলেন। পুলিস গ্রামে মাইকিং করে গ্রামে অচেনা অজানা কোন ব্যক্তিকে দেখলে বাসিন্দাদের খবর দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তা থেকেই বিভিন্ন মহল আশঙ্কা করছিল পাটকাপাড়া গ্রামে অচেনা ব্যক্তিকে দেখলে গণপিটুনি হতে পারে।
গণপিটুনি নিয়ে গ্রামবাসীরা অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন। গ্রামবাসীরা কেউ মুখ খুলতে চাননি। তবে ঘটনার পর নাম জানাতে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা মানছেন ভুল করে ওই বৃদ্ধকে মারধর করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর এলাকায় পুলিসের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় তপসিখাতা পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের টুম্পা সাহা বলেন, ছেলেধরা গুজব থেকেই ভুল করে ওই বৃদ্ধকে মারধর করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।