কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্জুরানি মৃধা বলেন, জাতীয় সড়কে কিছু বাস, ট্রেকার, অটো দাঁড়িয়ে থাকায় যানজট হচ্ছে। এছাড়াও হাটের দিনগুলিতে সমস্যা বেশি হয়। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের মুনেরা বেগম বলেন, জাতীয় সড়ককে যানজট মুক্ত রাখতে আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতে আলোচনা করব। তৃণমূল কংগ্রেসের পাঞ্জিপাড়া অঞ্চল সভাপতি তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ফিরোজ খান বলেন, জাতীয় সড়কের পাশে যাঁরা দোকান করছেন তাঁদের সরিয়ে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির জায়গায় বসাতে পারলে সমস্যার সমাধান হতে পারে। কয়েক বছর আগে বিডিও এবিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অস্থায়ী কিছু নির্মাণ ভেঙেও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার দোকানপাট তৈরি হয়। আমরা ফের এব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে কেন্দ্র করে পাঞ্জিপাড়া বাজার গড়ে উঠেছে। এলাকাটি বিহার লাগোয়া হওয়ায় সেখানে প্রতিদিন দুই রাজ্যের মানুষ যাওয়া আসা করেন। ইসলামপুর মহকুমার মধ্যে নামকরা এবং সবচাইতে পুরনো হাটই হচ্ছে পাঞ্জিপাড়া পাট। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিহারের অনেকেই এখানে এসে তাঁদের আনাজপাতি বেচাকেনা করেন। এখানে সপ্তাহে দু’দিন শনিবার এবং মঙ্গলবার হাট বসে। হাটে গোরু বিক্রি করা হয়। ফলে হাটের দিনে কয়েক হাজার ক্রেতা বিক্রেতা আসেন। ওই দিন করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাতীয় সড়ক প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। জাতীয় সড়কের উপরেই ট্রেকার, অটো, টোটো, বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলে এবং নামায়। জাতীয় সড়কের একাংশ দখল করে টোটোগুলি দাঁড়িয়ে থাকে। এই অংশটি ফোরলেন হলেও যানজটের কারণে যানবাহন গতি আটকে যায়। মঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে জাতীয় সড়কের পাশের ফুটপাতে অস্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করে সেখানে ফল, সব্জির দোকান বাসে। জাতীয় সড়কের দু’পাশের ফুটপাত তাই পথচারীরা ব্যবহার করতে পারেন না। তাঁদের ঝুঁকি নিয়েই জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে চলতে হয়। পাশাপাশি যানজটের কারণে জাতীয় সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরাও তীব্র সমস্যায় পড়েন। ভুক্তভোগীরা জানান, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যাতায়াত করাই দায় হয়ে পড়েছে। রায়গঞ্জ থেকে শিলিগুড়ি অভিযুখে যেতে হলে প্রথমেই টুঙ্গিদিঘিতে যানজটে পড়তে হয়। এরপর করণদিঘি পার হয়ে আসে ডালখোলা। ডালখোলা যানজট এই পথে যাত্রীদের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে কোনও মতে নিস্তার পেলে কানকিতে এসে সেই যানজটে পড়তে হয়। এরপর পাঞ্জিপাড়া। সেখানে রাস্তার উপরেই বাজার, দোকান গজিয়ে উঠেছে। জাতীয় সড়ক যানজট মুক্ত রাখতে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।