উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে আমরা প্রায় চার হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলাম। পর্যালোচনা শেষে নেতৃত্বকে বলা হয়েছে কর্মীদের নিয়ে মিটিং করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি পুরসভা নির্বাচনও সামনেই আছে। তার প্রস্তুতি হিসেবে সমস্ত বুথ কমিটি শক্তিশালী করতে হবে। ১৮ তারিখে কলকাতায় মিটিং আছে। তার পরে বুথ কমিটিকে নিয়ে আমি বসব। প্রতি বুথ কমিটিতে ৩১ জন করে সদস্য থাকবে। বুথ কমিটির মাধ্যমেই বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রার্থী বাছাই করা হবে। প্রার্থী নির্ণয়ে বুথ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সবাইকে নিয়েই পুরসভা নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তনয় দে বলেন, দল লিড পায়নি এর দায় কিছুটা হলেও আমার। কানাইয়াবাবুর নেতৃত্বে এবার পুরসভা নির্বাচনে আমরা ভালো ফল করব।
ডালখোলা পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে কয়েক মাস আগেই। বর্তমানে প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়েছে। যে কোনও সময় পুরসভা নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে পুরসভা এলাকায় শাসক দল পিছিয়ে পড়েছে। তাই এবারের নির্বাচন শাসক দলর কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি আঁচ করে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল।
২০১৩ সালের নির্বাচনে ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস ১০টি, সিপিএম চারটি ও বাকি দুইটি আসন পায় তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস বোর্ড গঠন করলেও ধরে রাখতে পারেনি। কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী কাউন্সিলারেরা দলবদল করে তৃণমূলে চলে আসেন। পুর বোর্ড তৃণমূলের হয়। পুরসভা শাসক দলের দখলে থাকার পরেও লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকায় বিজেপি লিড নিয়েছে। এমনকী বিদায়ী চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামীর ওয়ার্ডে দল প্রায় এক হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছে। এদিনের পর্যালোচনা বৈঠকে প্রত্যেক বক্তার বক্তব্যেই সেই প্রসঙ্গ ওঠে। লোকসভায় দলের শোচনীয় ফলের জন্য সকলেই নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নেন। এমনকী বৈঠকের মাঝপথে দলের শহর কমিটির সভাপতি তনয় দে পদত্যাগ করতে চান। কিন্তু কানাইয়াবাবু তাঁকে বুঝিয়ে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যেতে বলেন। কানাইয়াবাবু বলেন, সামনেই পুরসভা নির্বাচন। সকলে মিলেই লড়াই করতে হবে। এই অবস্থাতে কাউকেই পদ থেকে সরানো যাবে না। এদিনের সভায় বিদায়ী চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামী সহ তৃণমূলের সমস্ত কাউন্সিলার ও শহর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।