বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক সোমবার রাতে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার জন্য বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ডে আসে। স্থানীয়দের দাবি, সেই যুবক মদ্যপ অবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে বাস ধরতে আসা মহিলা, স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের কটূক্তি করছিল। সেই সময় এক নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে ওই যুবক। মেয়েটি চিৎকার করতেই স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে আটক করে পুলিসে খবর দেয়। পুলিস এসে যুবককে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ওই যুবককে বালুরঘাট জেলা আদালতে পাঠানো হয়। বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত বলেন, খবর পেয়ে পুলিস বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাকে এদিন আদালতে পাঠানো হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধৃত যুবক সন্ধ্যায় বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এসে দীর্ঘ সময় ধরে প্রকাশ্যে মাতলামো করছিল। বাস ধরবার জন্য দূরদূরান্ত থেকে আসা মহিলাদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে সে। সেখানে প্রাইভেট টিউশন ফেরত এক স্কুল ছাত্রী তার মায়ের সঙ্গে বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ ওই যুবক নাবালিকা ছাত্রীটির হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। কুপ্রস্তাব দেয়। ছাত্রীটি ও তার মা আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন। স্থানীয়রা ছুটে এসে ওই যুবককে ধরে ফেলে। পুলিসও চলে আসে। স্থানীয়রা ওই যুবককে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার পরে নাবালিকা ছাত্রী ও তার পরিবার ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। ছাত্রীর পরিবারের তরফে যুবকের বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিসকে জানিয়েছে, তারা কোনও ঝামেলাতে যেতে চায় না।
পুলিস ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে সে গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা। স্ত্রীর সঙ্গে জামাই ষষ্ঠী করতে এসেছিল। বউকে শ্বশুর বাড়ি রেখে সে একা বাড়ি ফেরার জন্য বাসস্টাণ্ডে বাস ধরতে এসে মদ্যপান করে। পুলিস স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে মাঝেমধ্যেই বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এমন ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। তাদের অভিযোগ, ওই চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি হয়। পুলিসের সামনে অবাধে মদ বিক্রি করা হলেও পুলিস আজ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে সন্ধ্যা হতেই অসামাজিক কার্যকলাপ শুরু হয়। শহরে পুলিসি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অন্যদিকে কুমারগঞ্জের সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়নন্দা এলাকার এক ছাত্রীকে জোর করে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, রবিবারের ওই ঘটনা নিয়ে পুলিসকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যুবক গা ঢাকা দেয়। সোমবার সে এলাকায় ফিরতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। গ্রামবাসীরা সালিশি সভায় ওই যুবককে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে। তাকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। পরে তার মাথা ন্যাড়া করে মুখে আলকাতরা মাখিয়ে ও গলায় জুতোর মালা পরিয়ে পুরো গ্রাম ঘোরানো হয়। সংশ্লিষ্ট গ্রাগ পঞ্চায়েতর প্রধান নির্দলের হুসমিন সরকার বলেন, পুলিসকে জানানো হয়েছিল। তারা ব্যবস্থা না নেওয়ায় গ্রামবাসীরাই সালিশি সভা করে সমস্যা মিটিয়ে নিয়েছে।