যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের এক্সিট পোল নিয়ে মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। একদল মনে করে, খুব একটা গুরুত্ব নেই এই সম্ভাব্য ফলাফলের। ইংলিশবাজারের রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ লাগোয়া একটি চায়ের ঠেকে বসে বাম-মনস্ক এক ব্যাঙ্ক কর্মী বিভিন্ন তথ্য দিয়ে প্রমাণ করতে তৎপর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিই নেই এক্সিট পোলের। তিনি বন্ধুদের বোঝাতে থাকেন আগে কতবার এক্সিট পোল মেলেনি। অন্য শিবিরও রীতিমতো তথ্য দিয়ে তাঁরা দেখাচ্ছিলেন, হুবহু না মিললেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই এক্সিট পোল প্রকৃত ফলাফল সম্বন্ধে একটা ধারণা তৈরি করে দেয়।
শুধু এক্সিট পোলের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই নয়, চর্চা ছিল এক্সিট পোলের রেজাল্ট নিয়েও। মকদমপুর বাজারে মাছ কিনতে আসা এক হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী তথা স্থানীয় একটি ক্লাবের কর্মকর্তা সরাসরি বললেন, কিছুতেই ২৩০টির বেশি আসন পেতে পারে না বিজেপি। কেন্দ্রীয় সরকারে থাকার কারণেই বিজেপি’র প্রভাবমুক্ত হতে পারেনি এক্সিট পোল। অন্যদিকে, শহরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষকের দাবি, বিজেপি রাজ্যে অন্তত ২০টি আসন পেতে চলেছে। এক্সিট পোল ঘোষণা করা চ্যানেলগুলি নাকি এই সারসত্য বুঝতেই পারছে না।
বৈষ্ণবনগর থেকে ইংলিশবাজার, চাঁচল থেকে বামনগোলা সর্বত্রই এদিন এক্সিট পোলের ফলাফলের প্রবল প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। খুব সকালে শহরের ফোয়ারা মোড়ে চা খেতে আসা কয়েকজন গোঁড়া তৃণমূল সমর্থক দাবি করলেন, মালদহের রাজনৈতিক সম্ভাব্য ফলাফল নাকি বিন্দুমাত্র প্রতিফলিত হয়নি এই এক্সিট পোলে। কনট্রাক্টরির সঙ্গে যুক্ত এক তৃণমূল সমর্থক প্রবল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর বন্ধুদের বোঝাচ্ছিলেন উত্তর মালদহ তো বটেই এমনকী দক্ষিণ মালদহেও এবার খাতা খুলতে চলেছে তৃণমূল। এমনকী হবিবপুর বিধানসভার উপনির্বাচনেও নাকি তাঁর দল জিতে বসে আছে বলে দাবি ওই ব্যক্তির।
অন্যদিকে পেয়াজি মোড়ের চায়ের ঠেকে বহুদিনের কংগ্রেস সমর্থকরাও আলোচনায় মেতেছিলেন সম্ভাব্য নির্বাচনী ফলাফলের এই আভাস নিয়ে। কংগ্রেসের এই অনুগামীরা কিছুতেই মানতে রাজি নন এবার উত্তর মালদহ কংগ্রেসের হাতছাড়া হবে। তাঁরা সমস্বরে বলে ওঠেন, এক্সিট পোল কখনও নিরপেক্ষ নয়। অন্যদিকে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত বিজেপি সমর্থকরা। তাঁদেরই কেউ কেউ ইতিমধ্যেই সবগুলি সংস্থার এক্সিট পোলের সম্ভাব্য ফলাফল প্রায় মুখস্থ করে ফেলেছেন। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েও দিচ্ছেন নিজেদের পরিচিতদের কাছে।
তবে এই মাতামাতির মধ্যে কোনও সারবত্তা দেখছেন না রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই। দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী ডালুবাবুর এজেন্ট কালীসাধন রায় বললেন, মালদহের দুটি আসনই কংগ্রেস পাবে। এক্সিট পোলে যে একটা আসন পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। অন্যদিকে বিজেপি’র জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্রর দাবি, এক্সিট পোলে মালদহে কম আসন দেওয়া হয়েছে বিজেপিকে। দুটি লোকসভা আর একটি বিধানসভার সবই পাবে বিজেপি। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি বাবলা সরকার বলেন, সবটাই ভিত্তিহীন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র ভিন্ন মত দিলেন। তিনি বলেন, আর তো মাত্র তিন দিন। এক্সিট পোলের চেয়ে মূল ফলাফলই যখন পেয়ে যাচ্ছি তখন এত ভেবে কী লাভ?