যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এই বিপদ এড়াতে জেলায় জৈব পদ্ধতিতে চাষে কৃষকদের প্রথম উৎসাহ দেন অঙ্কন জোয়ারদার নামে এক কৃষক। তিনি জমি লিজ নিয়ে জৈব পদ্ধতিতে চাষ করেন। অঙ্কনবাবু বলেন, নদী পাশ্ববর্তী এলাকায় চাষের জমিতে যথেচ্ছভাবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে সেই রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মাটির সঙ্গে মিশে নদী ও জলাশয়ের জলকে দূষিত করছে। নদী ও পুকুরের মাছে এর প্রভাব পড়ছে।
জেলা মৎস্য দপ্তর এই বিপদের কথা মেনে নিয়েছে। জেলার মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক অভিজিৎ সাহা বলেন, নদীর পাশের জমিতে চাষের সময়ে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এর ফলে আগের তুলনায় নদীর মাছ অনেক কমে গিয়েছে। পুকুরে মাছ চাষের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে অনেক জায়গায় আমরা পুকুরের পাড় একটু উঁচু করে বেঁধে দিতে বলছি। এই নিয়ে আমাদের দপ্তরের থেকে প্রচারও করা হয়েছে। জেলা কৃষিদপ্তরের আধিকারিক মীর ফারহাদ হোসেন বলেন, আমরা সব সময়ই নদীর লাগোয়া এলাকায় চাষ করার সময়ে কৃষকদের রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহার না করার জন্য বলে থাকি। এনিয়ে আমরা প্রচারও করি। এই প্রচারের উপরে আমরা আবার জোর দেব।
উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থেকে শুরু করে চোপড়া পর্যন্ত ন’টি ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় ছোটবড় বেশ কিছু নদী রয়েছে। এছাড়াও জেলাজুড়ে রয়েছে প্রচুর জলাশয় ও পুকুর। এসব নদী ও জলাশয় বা পুকুরগুলির পাশে দীর্ঘ বছর ধরে চাষাবাদ হয়ে আসছে। তবে আগে জমিতে তেমনভাবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হতো না। কিন্তু বিগত কয়েক বছর থেকে চাষে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জমিতে যথেচ্ছভাবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের প্রবনতা বেড়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, রাসায়নিক সার ব্যবহার করার ফলে জমি থেকে ইউরিয়া, সিঙ্গল সুপার ফসফেট প্রভৃতি ক্ষতিকর রাসায়নিক বৃষ্টিতে ধুয়ে নদী ও পুকুরের জলে গিয়ে মিশছে। যার জন্য জলের স্বচ্ছতা কমে যাচ্ছে। জলে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়। অক্সিজেনের সমস্যায় মাছের বৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। অপরদিকে, কীটনাশক জলে মিশে যাওয়ার কারণে জলে মাছের জন্য থাকা অনুখাদ্যও মরে যায়। এই পরিস্থিতিতে নদীতে কৃত্রিম উপায়ে খাবার দেওয়া হয় না বলে সেখানে মাছের খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। এর ফলে জন্য এই সব নদী, পুকুর ও জলাশয়ে মাছ কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি নদীতে থাকা জলজ উদ্ভিদেরও ক্ষতি হয়। মাছের উপরেও এর প্রভাব পড়ছে। তাই নদী লাগোয়া এলাকায় চাষে রাসায়নিক ও কীটনাশকের ব্যাহার বন্ধ করার ব্যাপারে প্রচার ও সচেতনতা বাড়ানো উচিত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।