উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
গঙ্গারামপুর শহরের এক ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী বিক্রেতা টিঙ্কু সরকার বলেন, এবারে আমি এখনও পর্যন্ত রেকর্ড সংখ্যক এসি বিক্রি করেছি। এর আগে কোনওবার আমি এতো এসি বিক্রি করিনি। প্রতিদিন আমার দোকান থেকে গড়ে পাঁচ-ছ’টি এসি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য দোকানদারও জানিয়েছেন, তাঁরা এসি এবং রেফ্রিজারেটর এবার খুব বেশি বিক্রি করছেন। গরমের কারণেই এসবের চাহিদা বেড়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি ছাড় দেওয়ায় অনেকেই সেসব কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এক বিক্রেতা বলেন, আমাদের কাছে ক্রেতারা এসি কেনার পর সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মী গিয়ে তা ইনস্টল করে দিয়ে আসেন। এসি চালাতে যেহতেু বিদ্যুৎ বেশি লাগে তাই এটা বিদ্যুৎ দপ্তরকে জানানো দরকার। নইলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ট্রান্সফর্মারে চাপ পড়ে। ওই ট্রান্সফর্মার ক্ষতি হতে পারে। ক্রেতাদের বিদ্যুৎ দপ্তরকে এটা জানানো উচিত। কিন্তু তাঁরা কি করছেন জানা নেই।
হরিরামপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেশন ম্যানেজার বিপিণ কুমার বলেন, বাড়িতে এসি লাগালে তা অবশ্যই বিদ্যুৎ দপ্তরকে আগে জানাতে হবে। আমাদের অনুমতি ছাড়া এসি লাগালে ট্রান্সফর্মারে চাপ পড়লে সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কোথাও লোড বেশি হলে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা ফেজ আলাদা করে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখেন। আমরা সবময়েই রুটিন চেকিং করে থাকি। এরপরেও কোথাও যদি দেখা যায় অনুমতি না নিয়ে কেউ এসি, মিনি মার্শাল চালাচ্ছেন তবে সেই উপভোক্তার বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠানো হয়। তাদের জরিমানাও করা হয়।
বৈশাখ মাসে এবার জেলায় সামান্য পরিমাণে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। খুব বেশি বৃষ্টি না হওয়ায় গরমের কমার লক্ষণই নেই। গরম থেকে স্বস্তি পেতে প্রচুর সংখ্যায় এসি এবং রেফ্রিজারেটর বিক্রি হচ্ছে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে না জানিয়ে ক্রেতারা বাড়িতে এসি লাগিয়ে ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে চাইলেও তা কার্যক্ষেত্রে খুববেশি কাজে আসেছ না। কারণ লো ভোল্টেজে এসি’ই চলছে না। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এবার গরম পড়তেই অনেকেই বাড়িতে এসি লাগিয়েছেন। জেলার বিভিন্ন বিদ্যুৎসামগ্রী বিক্রির দোকানগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শহরে এসি’র বিক্রি বেড়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে একেবারে অন্ধকারে রেখেই ওসব এসি’র ব্যবহার দেদার চলছে। স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎবাহী তার এবং ট্রান্সফর্মারে চাপ পড়ছে। জেলাজুড়েই উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এসব মেশিন ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মারে লোড বাড়ছে। যেকারণে লোডশেডিং কিংবা লো ভোল্টেজ হচ্ছে বলে বিদ্যুৎ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা দাবি করেছেন।