উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি দপ্তরের সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) প্রিয়নাথ দাস বলেন, ল্যাদা পোকার দাপট বেড়ে গিয়েছে। ওই পোকা চটহাটের গ্রামে পাটের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তাই সমস্ত ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারিককে এনিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পোকা ঠেকাতে কীটনাশক স্প্রে করতে চাষিদের পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার পাট, ভুট্টা এমনকী সব্জি খেতেও ফণী ঝড়ের পর কয়েক দিনে ল্যাদা পোকার আক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ডিম থেকে দ্রুত এই পোকার বংশবৃদ্ধি হয়। তবে ল্যাদা পোকার আক্রমণে এখনও পর্যন্ত ফসলের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার সঠিক হিসাব কৃষি দপ্তরের কাছে এখনও আসেনি। বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই পোকা যদি বড় হয়ে যায় তাকে প্রতিষেধক স্প্রে করেও মারা সম্ভব নয়। পোকা ডিম অবস্থায় স্প্রে করলে অনেকটাই ঠেকানো যেতে পারে। ল্যাদা পোকা গাছের সবুজ পাতা দ্রুত খেয়ে নেয়। এছাড়া পাটের ডগা কেটে দিলে ওই ফসল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভুট্টা খেতেও ল্যাদা পোকার আক্রমণ হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পাট খেতে ল্যাদার আক্রমণ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওই পোকা পাট খেত থেকে ভুট্টা ও সব্জি খেতেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাধারণত তামাক চাষের সময় ওই পোকার আক্রমণ দেখা যায়। তামাকের পাশাপাশি আলু খেতে ওই পোকা ছড়িয়ে পড়ে। শীতকালে প্রাকৃতিক উপায়ে ওই পোকা দমন হয়ে থাকে। সাধারণত পাখিরাই পোকা খেয়ে থাকে। তবে এবারে কয়েকদিনের ভ্যাপসা আবহাওয়ায় এর বংশবৃদ্ধি অনেকটাই ঘটেছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে প্রতিষেধক স্প্রে করার পাশাপাশি জমিতে বাঁশের কঞ্চি পুঁতে দিয়ে পাখিদের বসার সুযোগ করে দিলে ল্যাদা দ্রুত দমন হতে পারে।