উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
জেলা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক অমরেন্দ্র রায় বলেন, বোরো ধান মূলত কাঁচা থাকতেই কৃষকরা বিক্রি করে থাকেন। কাঁচা ধান আমরা ক্রয় করি না। তবে শুকনো ধান ক্রয় করা হবে। এখন ধান কেনা বন্ধ আছে। আগামীতে যাতে বোরো ধান ক্রয় করা যায় সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জেলা কৃষি দপ্তরের মুখ্য অধিকর্তা জোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, বোরো ধান কেনার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। যদি বোরো ধানও সরকারি সহায়ক মূল্যে কেনা শুরু হয় তবে কৃষকরা প্রচুর লাভের মুখ দেখতে পাবে।
কৃষিপ্রধান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৯০ শতাংশ কৃষক আমন ও বোরো ধান চাষ করে থাকে। আগে জেলায় মূলত বর্ষাকালে আমন ধান চাষ হতো। তবে সেচ ব্যবস্থা উন্নত হবার কারণে এখন ব্যাপক পরিমাণে বোরো ধান চাষ হয়। বোরো ধান চাষে কৃষকরা ঝুঁকলেও সেই ভাবে দাম তাঁরা পাচ্ছেন না। কৃষকরা জানান, সরকার ১৭৭০ টাকা দিয়ে আমন ধান কেনার কারণে তাঁরা কয়েক বছর ধরে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। আগে ফড়েরা বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করত। দাম কমিয়ে রাখত। আমন ধান কুইন্টাল প্রতি ১১০০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি করতে হতো। কিন্তু সরকার বোরো ধান না কেনায় মাত্র ১১০০ টাকা কুইন্টাল দরে কাঁচা ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। শুকানো ধান ১৩০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাদ্য দপ্তরের তরফে দ্রুত বোরো ধান কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলে চাষিরা অধিক লাভের মুখ দেখতে পাবে। কৃষকদের অভিযোগ, এনিয়ে কোনও উদ্যোগ প্রশাসনের তরফে নেওয়া হচ্ছে না। যদিও খাদ্য দপ্তরের দাবি বোরো ধান কেনারও প্রক্রিয়া শুরু হবে।