উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
উপাচার্য স্বাগত সেন বলেন, ভর্তিতে কোনও অনিয়ম হয়নি। শিক্ষার্থীরা যদি অনিয়মের প্রমাণ দিতে পারে তবে ব্যবস্থা নেব। ছাত্র বিক্ষোভের বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। দুপুর ১২টা থেকে আমাকে ও একাধিক প্রশাসনিক কর্তাকে আটকে রাখা হয়েছে। শৌচালয়েও যেতে দেওয়া হয়নি। ছাত্রী হেনস্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ভর্তিতে অনিয়ম নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ভর্তিতে অনিয়ম যখন হয়নি তখন উপাচার্য নথি দেখাচ্ছেন না কেন? তাছাড়া ভর্তি যদি নিয়মমাফিক হয়ে থাকে তবে এগজিকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি) বৈঠক করে ভর্তি করাতে হল কেন। যে ছাত্রের বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষিত যোগ্যতামানই নেই তাকে ভর্তি করা নিয়মমাফিক হয় না কি? উপাচার্য সত্য গোপন করতে চাইছেন। ওই ভর্তি বাতিল করতে হবে। না হলে সমস্ত বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিতে হবে। এদিন আশঙ্কাকে সত্যি করে বহিরাগতদের দিয়ে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয়েছে। পাল্টা আন্দোলনের কৌশল নেওয়া হয়েছে। আমরা দমছি না। আন্দোলন চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগে স্নাতকোত্তরে এক ছাত্রর ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে শুক্রবার থেকে একাংশ শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। মঙ্গলবার উপাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের আলোচনার নির্ঘণ্ট ছিল। এদিন আন্দোলনকারীরা দুপুরে উপাচার্যের ঘরে যেতে গেলে একাংশ শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সেসময় আন্দোলনকারী ছাত্রীদের কয়েকজনের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করো হয়। আন্দোলনকারীরা উপাচার্যকে ঘিরে হামলার প্রতিবাদ জানাতে থাকে। উপাচার্যের সামনেই দু’দল বচসায় জড়িয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক হইহট্টগোলের পর আন্দোলনকারীরা ভর্তিতে অনিয়মের প্রসঙ্গ তুলে উপাচার্যের জবাবদিহি দাবি করে। সদুত্তর না মেলায় তাঁরা উপাচার্যকে ঘেরাও করেন। রাত পর্যন্ত সেই ঘেরাও চলে। উপাচার্য পুলিসের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।