রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
২০১৪ সালে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে ডালুবাবুর পেশ করা হলফনামায় বয়স উল্লেখ করা ছিল ৭০ বছর। এবছর ২ এপ্রিল তিনি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন সেখানে তাঁর বয়স উল্লেখ করা রয়েছে ৭২ বছর। অর্থাৎ মাঝের পাঁচ বছরে ডালুবাবুর বয়স বেড়েছে দুই বছর! আবার লোকসভার ওয়েবসাইটে ১৬তম লোকসভার সদস্যদের যে তথ্য দেওয়া রয়েছে সেখানে ডালুবাবুর জন্ম তারিখ হিসাবে উল্লেখ করা রয়েছে ১২ জানুয়ারি, ১৯৪১। অর্থাৎ ওইটি প্রামাণ্য হিসেবে ধরলে ডালুবাবু ৭৮ বছর পার করে ৭৯ বছরে পা দিয়েছেন।
একই বিভ্রাট রয়েছে উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর ক্ষেত্রেও। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্র থেকেই সিপিএম প্রার্থী হিসাবে লড়াই করেছিলেন তিনি। তখন হলফনামায় তাঁর বয়স ছিল ৫৯ বছর। ২০১৬ সালে হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিএমের হয়ে লড়াই করে জয়ী হন খগেনবাবু। সেই হলফনামায় আবার তাঁর বয়স রয়েছে ৫৬ বছর। অর্থাৎ দু’বছরে তাঁর বয়স কমে যায়। এবার আবার উত্তর মালদহ কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন খগেনবাবু। এবারের পেশ করা হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর বয়স ৫৯ বছর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার সময় পেশ করা হলফনামায় তাঁর জন্ম তারিখ উল্লেখ করেননি খগেন মুর্মু। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা এবং এবারের লোকসভায় যে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন তিনি, দু’টি ক্ষেত্রেই তাঁর জন্ম তারিখ রয়েছে ১৯৬০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। সেই অনুযায়ী অবশ্য তাঁর বর্তমান বয়স ৫৯ তাতে সংশয় নেই।
এবিষয়ে জেলা তৃণমূলের অন্যতম কার্যকরী সভাপতি সুমালা আগরওয়াল বলেন, বোঝাই যাচ্ছে আমাদের বিরোধী দলের এই দুই প্রার্থীর হলফনামায় গরমিল রয়েছে। আসলে ওনারা এমন দুই দলের হয়ে লড়ছেন যেখানে গরমিল থাকাটা অসম্ভব কিছু নয়। ডালুবাবুর সঙ্গে বারবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি। তবে ডালুবাবুর প্রস্তাবক কংগ্রেসের জেলা কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায়ের দাবি, আগে কার দিনে ভোটার কার্ডে ঠিকঠাক বয়স লেখা থাকত না। সেটি দেখে তাড়াহুড়ো করে হলফনামা লেখায় ভুল হয়ে থাকতে পারে। অনেক তাবড় নেতানেত্রীরই এমন ভুল থাকে। পরে এই ভুল শোধরানোর সুযোগ থাকা উচিৎ। খগেন মুর্মুর সঙ্গেও বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। খগেন মুর্মুর প্রস্তাবক বিজেপি নেতা গোপাল সাহা বলেন, হলফনামায় সজ্ঞানে কোনও ভুল নেই। তবে কোথাও কোনও অসামঞ্জস্য থাকলে তা অনিচ্ছাকৃত। সুযোগ থাকলে তা সংশোধন করে নেওয়া হবে।